প্রতিনিধি ১৯ নভেম্বর ২০২৪ , ৬:৩৫:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় বাক প্রতিবন্ধী কন্যাশিশু ধর্ষণ মামলার আসামি মহিউদ্দিন সাকিব (২৪) মালয়েশিয়া পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ মহিউদ্দিন সাকিবকে গ্রেপ্তার করেছেন।এরপর রাতে তাকে বোয়ালখালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
গ্রেপ্তারকৃত মহিউদ্দিন সাকিব হলেন বোয়ালখালী উপজেলার ৪নং শাকপুরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম শাকপুরা মনার বাপের টেক এলাকার তুফান আলী মুন্সির বাড়ীর আব্দুল মোনাফের পুত্র।
বোয়ালখালী থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, বোয়ালখালী উপজেলার ৪নং শাকপুরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম শাকপুরা মনার বাপের টেক এলাকার বাসিন্দা ওই বাক প্রতিবন্ধী কন্যা শিশুর (১৪) এর পরিবার।
শিশুটির মা বোয়ালখালী উপজেলা মিলিটারীপুল এলাকায় নাড়া গার্মেন্টেস এ চাকুরী করেন। শিশুটির বাবা ওমান প্রবাসে থাকেন।গত (১৫ আগষ্ট )বাক প্রতিবন্ধী কন্যা শিশুর মা প্রতিদিনের ন্যায় সকাল বেলায় কর্মস্হলে চলে যায়। সারাদিন গার্মেন্টেসের কাজ শেষে রাত অনুমান ৯ টার সময় ঘরে ফিরে দেখে তার বাক প্রতিবন্ধী মেয়ে সোফার উপর বসা এবং ভুক্তভোগীর মেয়ের পরনের পায়জামা রক্তাক্ত। তার মেয়ের পরনের পায়জামা চেক করে দেখতে পায় তার মেয়ের যৌনাঙ্গ হতে রক্ত বের হচ্ছে।
পরে এ বিষয়ে বাক প্রতিবন্ধী কন্যা শিশুর মা মেয়েকে জিজ্ঞেস করিলে শিশুটি অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে মাকে জানায় যে, মা চাকুরীতে থাকা অবস্হায় বিবাদী মহিউদ্দিন সাকিব গত (১৫ আগষ্ট) বিকাল আনুমান বিকাল ৫ টায় ভুক্তভোগীর বসত ঘরের ভিতর প্রবেশ করে বসত ঘরের দরজা বন্ধ করে এবং বাক প্রতিবন্ধী কন্যা শিশুটিকে শোয়াইয়া মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষন করে রক্তাক্ত অবস্থায় বসত ঘরে ফেলে বিবাদী মহিউদ্দিন সাকিব চলে যায়।
ভুক্তভোগী বাক প্রতিবন্ধী কন্যা শিশুটির মা ভোরের দর্পণ প্রতিবেদকে বলেন,আমার বাক প্রতিবন্ধী মেয়েকে আমার বড় মেয়ের জামাই মো. আলমগীর এবং স্থানীয় মো. শরীফ, মো. নাছেরের সহযোগীতায় আমি আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার মেয়েকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার এ প্রেরণ করেন। আমি আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের চিকিৎসা শেষে আমার প্রবাসী স্বামীর সাথে মোবাইল ফোনে পরামর্শ করে বোয়ালখালী থানায় মহিউদ্দিন সাকিবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি।
বোয়ালখালী থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. মাঈন উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন,মামলা হওয়ার পর থেকে মহিউদ্দিন সাকিব পলাতক ছিলো।সে যাতে বিদেশে পালিয়ে না যায় আমি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন বরাবর ঠিটি প্রেরণ করি।এর পেক্ষিতে গত (১৮নভেম্বর) সোমবার ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দিয়ে মালয়েশিয়া পালিয়ে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন অফিসার ও ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।এরপর রাতে তাকে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেন।
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সারোয়ার বলেন, মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় ধর্ষণ মামলার আসামি মহিউদ্দিন সাকিবকে ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের কাছ থেকে থানায় আনা হয়েছে। তাকে আজ (১৯ নভেম্বর) মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।