প্রতিনিধি ১৯ এপ্রিল ২০২০ , ৫:৫৪:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস আতংকে সারা দেশ এখন লকডাউনে রয়েছে। দেশের পরিস্থিতি দিন দিন হুমকির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারের তরফ হতে জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের না হওয়ার জোড় অনুরোধ জানানো হচ্ছে। অনেকেই সরকারের সেই অনুরোধের তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ঘড় হতে বের হওয়ার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। এলাকাবাসী সবাই মিলে লকডাউনের সিদ্ধান্তে এক হলেও অনেকেই তা অমান্য করছে। এতে বিরুপ পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার মত ঘটনাও ঘটতে দেখা যাচ্ছে।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এমন এক ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নে অবস্থিত স্বপ্নের ঠিকানা আবাসনে দুই সহদর ভাইয়ের পরিবার লকডাউন অমান্য করে বাহিরে যাওয়া–আসা করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্বপ্নের ঠিকানা আবাসনে ১৩০ পরিবারের বসবাস। করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের লকডাউনের সাথে একতা পোষণ করে তারা সবাই স্বপ্নের ঠিকানা আবাসনকে লকডাউন করে দেয়। তাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত মোতাবেক বাইরের কেউ অপ্রয়োজনে আবাসনে আসতে পারবে না আর বাইরেও যেতে পারবে না। এ সিদ্ধান্তকে ১৩০ পরিবারের মধ্যে ১২৮ পরিবার সম্মতি জানালেও হাছান মোল্লা ও মিজান মোল্লা নামের দুই সহোদর ভাইয়ের পরিবার মানতে নারাজ।
হাছান মোল্লা ও মিজান মোল্লা স্বপ্নের ঠিকানা আবাসনের বি–২৪ ও বি–৩২ নম্বর বাড়িতে স্ত্রী–সন্তান নিয়ে স্ব–পরিবারে বসবাস করে আসছে। তারা আবাসনের সকলের সিদ্ধান্তকে অবহেলা করে জোড় পূর্বক অপ্রয়োজনে বাহিরে আসা–যাওয়া করে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এমনকি তারা দুই সহোদর ভাই একত্রিত হয়ে শুক্রবার আবাসনের গেট ভেঙ্গে বাহিরে বের হলে স্থানীয় অন্যান্য সকলের সাথে হাতা–হাতির ঘটনাও ঘটে। এতে হাছান ও মিজান অকথ্য ভাষায় সকলকে গাল–মন্দ করেছে বলে জানা যায়।
আবাসনের স্থানীয়দের মতে, হাছান ও মিজান দুই সহোদরের বাসায় বিভিন্ন ধরনের লোকের আনাগোনা রয়েছে বলে আবাসনের একাধীক লোক জানান। স্বপ্নের ঠিকানা আবাসনের প্রজেক্ট সভাপতি মো. সালেক হাওলাদার বলেন, আমরা ১২৮ পরিবার মিলে আবাসন লকডাউন করার সিদ্ধান্তে একমত হলেও হাছান ও মিজান দুই ভাই সে সিদ্ধান্তকে অমান্য করে। তাদের পরিবারে বিভিন্ন ধরনের লোকজনের আসা–যাওয়ায় সমস্যা হয় বলে তারা আমাদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে মানতে পারছে না।
আবাসনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ক্লাবের সভাপতি জাকারিয়া মৃধা বলেন, তাদের অত্যাচারে আমরা স্থানীয়রা অতিষ্ট। কোন ভাবেই তারা আমাদের সকলের সাথে মিশে থাকতে পারছেনা। এ বিষয়ে আমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করেছি। অভিযুক্ত হাছান মোল্লা ও মিজান মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।
এ বিষয়ে কলাপাড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।