দেশজুড়ে

মোরেলগঞ্জে মাদ্রাসার সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

  প্রতিনিধি ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৫:১৪:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

মোরেলগঞ্জে মাদ্রাসার সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে পি কে মোহসিনা সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সাবেক এস এস সি সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও মাদ্রাসার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিহাব উদ্দিন আদালতে মামলা দায়ে করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, মোরেলগঞ্জে উপজেলার পি কে মোহসিনা সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সাবেক এসএমসি সভাপতি ডা: তৈয়াবুর রহমান সেলিম মাদ্রাসার সভাপতি হওয়ার পর আওয়ামী রাজনৈতিক প্রবাব খাটিয়ে ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষকদের দেয়া আরভী প্রভাষক খায়রুল বাসার ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, প্রভাষ জাকির হোসেন ৩ লক্ষ টাকা, মনিশংঙ্কর চক্রবর্তী ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, নজরুল ইসলাম সহকারী মৌলভি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। শিক্ষকের মাদ্রাসা উন্নয়নের জন্য দেয়া টাকা অনিয়মের মাধ্যমে মাদ্রাসার ৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন।

টাকা আত্মসাৎ করে খ্যান্ত হয়নি উক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে সি আর ১৪৩/১২ মামলা দিয়ে অধ্যক্ষের পদ হইতে বরখাস্ত করেন। পরবর্তীতে উক্ত মামলা হইতে খালাশ পাইয়া ১নং আসামী ডা: তৈয়াবুর রহমান সেলিম এর কাছে স্বপদে পুন বহলের জন্য বলিলে সে ক্ষিপ্ত হইয়া পূনবহল করিতে রাজি না হইয়া অধ্যক্ষকে চাকুরী ছেড়ে দিতে বলে। চাকুরী ছাড়ার ভয় দেখিয়ে অধ্যক্ষের নিকট হইতে মারপিট ও হত্যার ভয় দেখিয়ে জোর পূর্বক ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করিলে অধ্যক্ষকে হাত পা ভেঙ্গে ফেলে দিবে বলে লাগাতার হুমকি দিতে থাকে।

এক পর্যায়ে চাকুরীতে পূনবহলের জন্য তার কথা মতো অধ্যক্ষের স্ত্রী ১নং স্বাক্ষী মোসা: সাহানাজ পারভীন কে দিয়ে গত ৩০ জুন ২০১৫ ইং তারিখ নগদ ৩ লক্ষ টাকা মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ডা: তৈয়াবুর রহামন সেলিম এর বাড়ীতে বসে তার হাতে তুলে দিয়েছে। টাকা নিয়ে পূনবহল না করে আরো ২ লক্ষ টাক চাঁদা দাবী করেন। পরবর্তীতে ১নং আসামী ডা: তৈয়াবুর রহমান সেলিম ও ২নং আসামী আকরামুজ্জামান হাওলাদার অধ্যাক্ষ সিহাব উদ্দিন হাওলাদার এবং অধ্যক্ষের স্ত্রী ১নং স্বাক্ষী মোসা: সাহানাজ পারভীন কে মোরেলগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে আসতে বলেন।

তাদের কথা মতো সরল মনে মোরেলগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা অফিসের সামনে গত ৪জুলাই ২০১৫ ইং তারিখ বেলা ১১ টার সময় পৌছানো মাত্র ১নং আসামী ডা: তৈয়াবুর রহমান সেলিম ও ২নং আসামী আকরামুজ্জামান হাওলাদার সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন আমরা কিছু বুঝে উঠার পূর্বেই আসামীগন এলোপাথারি মারপিট শুরু করেন। এবং ৩ নং স্বাক্ষী মো: রফিকুল ইসলাম এর দোকানে সাইজ কাছ দিয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট শুরু করেন। আমি ডান হাত দিয়ে ঠেকাইতে গেরে আঘাতে আমার ডাম হাত ও বাম হাত দুইটি ভেঙ্গে যায়। এবং আমার পকেটে থাকা একটি স্যামসাং মোবাই যার মূল্য ১৫ হাজার টাকা এবং বুক পকেটে থাকা ২০ হাজার টাক সেলিম হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাত করেন।

অধ্যক্ষের স্ত্রী সাহানাজ পারভীন কে চুলের মুঠি ধরে মাটিতে ফালাইয়া এলো পাথারি কিল ঘুষি, এবং লাথি মারিয়া আহাত করেন। এবং গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্নের চেইন মার মূল্য ৬০ হাজার টাকা সেলিম নিয়ে যায়। আহাত হইয়া ডাক্তরের চিকিৎসা নিয়ে মামলা করতে গেলে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের চাপের মুখে মামলা করতে পারেনি।

গত ৫ আগষ্ট দেশের পেক্ষা পট পরিবর্তন হলে গত ০২ ডিসেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ বাগেরহাট বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাটিষ্ট্রেট আদালতে ১নং ডা: তৈয়াবুর রহমান সেলিম ও ২নং আকরামুজ্জামান হাওলাদার কে আসামী করে পি-৩০৮/২৪ মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে ডা: তৈয়াবুর রহমান সেলিম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ২০১৫সালে সভাপতি থাকা কালিন তার কাগজ পত্রে ত্রুটি থাকার কারনে তার নামে মামলা হয়েছে। আমার পূর্বের সভাপতি মাহাবুুবুর রহমান তিনি তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। আমি তাকে বরখাস্ত করিনি।

আরও খবর

Sponsered content