প্রতিনিধি ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৬:৩৮:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নে অপরূপ নৈসর্গিক পরিবেশে ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী ‘বরমা ত্রাহি মেনকা উচ্চ বিদ্যালয়’র শতবর্ষ পূর্তি উৎসব ও পুনর্মিলনী শনিবার দিনব্যাপী বর্ণিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। অনেকে দীর্ঘদিন পরে তাদের সহপাঠিদের পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। এ সময় উৎসবে মেতে ওঠেন সবাই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডক্টর কর্ণেল অলি আহমদ বীর বিক্রম।
প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব মাে. আবদুল আলীম। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- অধ্যক্ষ এডভোকেট আবদুল গফুর খান, অধ্যক্ষ নুরুল আবছার, ডা. মঈনুদ্দিন চৌধুরী, আবদুল আহাদ পিএসসি, প্রধান শিক্ষক এএইচএম ছৈয়দ হােসেন, শিক্ষক স্বপ্না ভট্টাচার্য, জাহানারা বেগম, মাস্টার রূপম পাল বাবু, মাহমুদুর রহমান, আনোয়ারুল ইসলাম, আবু জাফর মেম্বার, এসএম সেলিম, রেহেনা আকতার কাজেমী, মহিউদ্দীন ওসমান গণি, কামরুন নাহার, বলরাম চক্রবর্তী, ছৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, মাে. জোবায়ের, স্মৃতি চৌধুরী, কাজী মাে. দেলােয়ার হােসেন, জোবাইর ছৈয়দ, মাে. আমির হোসেন, এডভোকেট অঞ্জন বিশ্বাস, এডভোকেট রণি কান্তি বডুয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডক্টর কর্ণেল অলি আহমদ বলেন, “মানুষের মনুষ্যত্ব, নীতি নৈতিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষকদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত না হয়ে মানুষ গড়ার কাজে সময় দিতে হবে। ছাত্রদের সঠিকভাবে লেখাপড়া করতে হবে। এক পর্যায়ে তিনি তাঁর ছাত্র জীবনের স্মৃতি তুলে ধরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এসময় তাঁর শিক্ষকদের অবদানের কথা তুলে ধরেন। এসময় তিনি আরো বলেন, স্কুল-কলেজ হচ্ছে, কিন্তু সঠিক শিক্ষা পাচ্ছে না শিক্ষার্থীরা। দেশ ঠিক রাখতে হলে ভালাে মানুষ গড়ে তুলতে হবে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশ সংস্কার করতে হবে। এজন্য ড. ইউনূসকে সময় দিতে হবে। তিনি নির্বাচন না করার ঘােষণা দিয়ে তাঁর ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুককে প্রার্থী করার ঘােষণা দেন। তিনি বলেন, তাঁর ছেলে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। সে জনগণের টাকা নষ্ট করবে না।
অনুষ্ঠানে যাত্রা মােহন সেন গুপ্ত, প্রিন্সিপাল আবুল কাশেম, শহীদ আবদুস ছবুর খানকে মরণােত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়।