দেশজুড়ে

শিশু ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ড, অল্পের জন্য বেঁচে গেল ৮ রোগী

  প্রতিনিধি ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৪:১৮:৩৪ প্রিন্ট সংস্করণ

শিশু ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ড, অল্পের জন্য বেঁচে গেল ৮ রোগী

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা হয়েছে। এতে অল্পের জন্য রক্ষা পায় ওই ওয়ার্ডে থাকা আট শিশু রোগী।সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে হাসপাতালের পঞ্চম তলার শিশু ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।

হাসপাতাল ও রোগীর স্বজন সূত্রে জানা যায়, সোমবার ভোরে রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনরা হঠাৎ শিশু ওয়ার্ডের বি-৫ শয্যায় আগুন ও ধোঁয়া দেখতে পান। এসময় ওই ওয়ার্ডে থাকা আট শিশু ও তাদের স্বজনরা দ্রুত পাঁচ তলা থেকে নিচে নেমে আসেন। পরে ওয়ার্ডে থাকা স্বাস্থ্যকর্মীরা তাৎক্ষণিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

শিশু ওয়ার্ডে থাকা রোগীর স্বজন মো. মেহেদী হাসান বলেন, আমরা সবাই ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ ভোরে ধোঁয়া ও পোড়া গন্ধ নাকে আসে। পরে কোনোকিছু না ভেবে আমার মেয়েসহ ওই ওয়ার্ডে থাকা অন্যরা তাদের শিশুদের নিয়ে দ্রুত নিচে নেমে যাই। আগুন দ্রুত নেভানো না গেলে বড় ধরণের ক্ষতি হয়ে যেত। তবে এ ঘটনায় কারও কোনো ক্ষতি হয়নি।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. নুরুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে শিশু ওয়ার্ডে আগুনের সূত্রপাত হলে তাৎক্ষণিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানো হয়েছে। এসময় ওয়ার্ডে থাকা শিশু ও তাদের স্বজনদের দ্রুত নিচে নামানো হয়। আগুন নেভানোর আধাঘণ্টা পরেই আবার রোগীদের শয্যায় ফিরিয়ে আনা হয়। আগুনে ওয়ার্ডে থাকা একটি শয্যার চাদর ও ফোমের কিছু অংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।

মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহম্মদ খান বলেন, সিলিং ফ্যান থাকার পরেও এক রোগীর স্বজন চার্জার ফ্যান ব্যবহার করছিলেন। সেই চার্জার ফ্যান থেকে ওই শয্যার মশারিতে আগুন লেগে যায়। তাৎক্ষণিক ওয়ার্ডের লোকজনই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চার্জার ফ্যানটি ত্রুটির কারণেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ শিকদার বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। তবে যাওয়ার আগেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি চার্জার ফ্যানের ব্যাটারি বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by