চট্টগ্রাম

মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে জামায়াতের কার্যালয়ে বিএনপির তালা

  প্রতিনিধি ৭ জানুয়ারি ২০২৫ , ৭:৫৯:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে জামায়াতের কার্যালয়ে বিএনপির তালা

চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জ থানার জোরারগঞ্জ বাজারে জামায়াত সমর্থিত ৬ জন ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ইউনিয়ন কার্যালয়ে তালা দিয়েছে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা।  

সোমবার রাতে উত্তরজেলা বিনএপির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান গ্রুপের উশৃঙ্খল নেতাকর্মীরা এই ঘটনা ঘটায়। তালা দেয়ার পরদিন মঙ্গলবার সকালে উত্তরজেলা বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, বারৈয়ারহাট পৌরবিএনপির আহবায়ক দিদারুল আলম মিয়াজি, জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতে আমির নুরুল হুদা হামিদি, সেক্রেটারী মাইনুদ্দিন সহ বিএনপি জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতারা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে ব্যবসায় প্রতিষ্টান ও জামায়াত কার্যালয় খুলেদেন।

ব্যবসায় প্রতিষ্টান ও জামায়াত কার্যালয়ে তালা দেয়ার কারন হিসেবে জানা যায়, বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চেয়াম্যান অনুসারী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব  মাসুকুল আলম সোহান ও সাবেক শিবির নেতা জামালের সাথে ব্যবসায়িক দন্ধ থেকে উভয়ে মধ্যে সোমবার দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ৪জন আহত হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা সশস্ত্র মহড়া দেয় বাজারে।

এসময় জামায়াত অনুসারী এক শিক্ষককেও মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে বিএনপি নেতাকর্মীরা। একই রাতে জোরারগঞ্জ বাজারে জামায়াত অনুসারী ৬ ব্যবসায়ীর ব্যবসায় প্রতিষ্টানে তালা ঝুলিয়ে দেয় উশৃঙ্খল বিএনপি নেতাকর্মীরা। তালা ঝুলিয়ে দেয়া ৬টি দোকান হলো আনোয়ার হোসেনের বেড় তোশকের দোকান, মো: শরিফের ওয়ার্কশপ, শাহানেওয়াজের কনফেকশনারী দোকান, মো: নবী ও সোহেলের আসবাবপত্র দোকান। এসময় তারা জোরাগঞ্জ ইউনিয়ন জামায়াতের কার্যালয়ে তালা দিয়ে বাজার থেকে জামাত সমর্থীত নেতাকর্মী ও ব্যবসায়ীদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।

ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা জামায়াত সমর্থন করি কিন্তু আমাদের মুল পরিচয় আমরা এখানকার ব্যবসায়ী। সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে আমাদের সুপম্পর্ক রয়েছে। ব্যাক্তিগত ব্যবসায়িক বিষয়কে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক রুপ দিয়ে এভাবে দোকানে তালা দেয়া নজীরবিহীন। আমরা সর্বোচ্ছ দৈর্য ধারণ করছি। নেতৃবৃন্দের সিদ্যান্ত ও নির্দশের অপেক্ষায় আছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জোরারগঞ্জ থানা জামায়াতে আমীর নুরুল হুদা হামিদী বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যানসহ বিএনপির দায়িত্বশীল ও আমাদের দায়ীত্বশীলদের নিয়ে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান ও দলিয় কার্যালয় খুলে দেয়া হয়েছে।

পরবর্তীতে উভয় দলের দায়ীত্বশীলদের বৈঠকে আলোচনা সাপেক্ষে সমস্যা ও সামাধান নিয়ে আলোচনা করা হবে। আমরা কোন প্রকার সংঘাতে যেতে চাইনা। আলোচনার মাধ্যমে সর্বোচ্ছ ছাড় দিয়ে যে কোন সমস্যার সমাধান করতে চাই। মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্যসচীব গাজী নিজাম বলেন, জামায়াত সমর্থীত দুটি দোকান থেকে লাঠিসোটা বের করে বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা করা হয়েছিল তাই তারা দুটি দোকান বন্ধ করে দিয়েছিল। আমারা ওসব দোকান জামায়াত নেতা ও বাজার কমিটির লোকজন নিয়ে খুলে দিয়েছি।

এছাড়া জামায়াত কার্যালয়টি পূর্বে আওয়ামীলীগের কার্যালয় ছিল জামায়াত সেটি দখল করে তাদের কার্যালয় বানিয়েছে। তাই নেতাকর্মীরা সেটা তালা দিলেও আমরা খুলে দিয়েছি।

আরও খবর

Sponsered content