প্রতিনিধি ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ , ৬:১৯:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ২০২১ সালে বসতভিটার সীমানা বিরোধ নিয়ে ঘটে যাওয়া নৃশংসভাবে খুনের শিকার আবদুল খালেক কালু ও মো. সোলতান মাহমুদ টিপু হত্যা মামলা থেকে অর্ন্তবর্তীকালীন জামিনে মুক্তিলাভ করে আসামীরা মামলার বাদী ও সাক্ষিদের প্রতি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উল্টো মিথ্যা মামলা দায়ের করে পাশাপাশি হত্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য বাদীকে হুমকি, ভয়ভীতি দেখানো ও চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় মমতাজ বেগম বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বাঁশখালী বরাবর মামলার তদন্তকারী এস.আই মো. গোলাম সরওয়ার সহ আসামী বাহাদুর ও মঞ্জুর আলমের বিরোদ্ধে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে ৪৪ ধারা বিধানে সাধারণ ডায়েরি করেন।
বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ‘হত্যাকান্ডের ঘটনায় মমতাজ বেগম বাদী হয়ে জড়িত আসামী বাহাদুর ও মঞ্জুর আলমের বিরোদ্ধে জেলা ও দায়রার জজ আদালত চট্টগ্রামে মামলা দায়ের করলে আসামীগণ হাজত খেটে পরে অন্তর্বতীকালীন জামিনে মুক্তিলাভ করেন। এর পর আসামীরা প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে উল্টো আমার ছেলে কামাল ও মামলার সাক্ষিদের বিরোদ্ধে আসামী বাহাদুর বাদী হয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে সি.আই.ডি চট্টগ্রাম সত্যতা পায়নি বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।’
পরে আদালত বাদী পক্ষের নারাজিতে অধিকরত তদন্তের জন্য মামলাটি বাঁশখালী থানা পুলিশ অফিসার ইনচার্জ বরাবর প্রেরণ করেন। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান এস.আই মো. গোলাম সরওয়ার।
মমততা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম সরওয়ার আসামীদের নিকট থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে আমার বসতবাড়ীতে আইনের পোষাক পরিধান করে অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করেন। আমার দায়েরকৃত হত্যামামলাটি ধার্য্য তারিখে (১৬-০১.২৫) আপোষনামা দাখিল করে আসামীদের খালাস করে দিতে বলে। আমি আমার পুত্র ও নাতি হত্যার বিচার চাইব মর্মে জানালে ওই পুলিশ কর্মকর্তা আমার বুক বরাবর পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যামামলার তারিখে আপোষ না দিলে আমাকে ও আমার অপরাপর সন্তানদেরকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। একইসাথে আসামী বাহাদুর ও মঞ্জুর আলম বিভিন্ন মিথ্যা মামলা মোকদ্দমায় ফাঁসাই দিবে বলে হুমকি দেয়।
এস.আই মো. গোলাম সরওয়ার বলেন, ‘আমি তদন্ত করতে গিয়েছি। ওই দিন তো আমার হাতে অস্ত্রই ছিলো না। হুমকি দিয়েছি বলে অভিযোগটিও মিথ্যা। মামলার আপোষ করবে কি করবে না সেটা দেখার বিষয়ও আমার না। তাছাড়া আমি তদন্তে যাওয়ার সময় আমার সাথে পুলিশের আরেকজন সদস্যও ছিলো। আমার বিরোদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অবান্তর এবং ভিত্তিহীন।