চট্টগ্রাম

এম এ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফেকে একতরফা বরাদ্দ দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

  প্রতিনিধি ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৭:০৯:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

এম এ আজিজ স্টেডিয়াম বাফুফেকে একতরফা বরাদ্দ দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন স্টেডিয়াম ব্যবহার করতে হলে তাদেরকে চট্টগ্রামবাসীরই অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছে চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্রীড়া ভিত্তিক ক্লাব ও ক্রীড়া সংগঠকরা। এটি বাফুফকে লীজ দেয়া হলে দুইপাশে দুটি তালা লাগানো থাকবে সেটি। যা চট্টগ্রামবাসীর জন্য মোটেও শুভকর হবেনা। এমনকি চট্টগ্রামের কোন খেলোয়াড়, ক্রীড়া সংগঠক বা ক্লাবের সদস্যরা সেখানে প্রবেশ করতে পারবে না। সকল প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হবে। এটি হবে চট্টগ্রামবাসীর জন্য বড় ধরনের দুঃসংবাদ।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলে ক্লাবসমূহ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন নেতৃবৃন্দ। চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামকে ২৫ বছরের জন্য বাফুফেকে লীজ দেওয়ার সিন্ধান্তের প্রতিবাদে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চট্টগ্রামের স্থানীয় খেলাধুলার স্বার্থে চট্টগ্রামের বিত্তবান লোকজন কাজীর দেউড়ির এম এ আজিজ স্টেডিয়াম নির্মাণ করেছেন। এই মাঠ চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস)। বাফুফের অনুমতি নিয়ে খেলাধুলা করাটা কোনোভাবে মানা হবে না। অবিলম্বে আমরা এই স্টেডিয়াম ২৫ বছরের জন্য বাফুফেকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ক্রীড়া সংগঠক ও সাবেক ক্রিকেটার শাহীন আফতাবুর রেজা চৌধুরী। এতে বক্তব্য তুলে ধরেন ফ্রেন্ডস ক্লাবের প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আবুল বশর, সিজেকেএসের সাবেক সহ-সভাপতি হাফিজুর রহমান, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শাহাবুদ্দিন শামীম, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল, ক্রীড়া সংগঠক আমিনুল ইসলাম, শাহজাদা আলম, শাহাবুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও নিয়াজ মোহাম্মদ খান প্রমূখ

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, যারা এটি করছে তারা ক্রিকেটের ভালো চায় না। চাইলে এটি করতো না। ফুটবলের জন্য আরও একটি ভালো মানের স্টেডিয়াম করা দরকার। দেশের অন্যান্য স্টেডিয়াম দেখল না কেন? কেন চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামকে দেওয়া হলো। আমরা ধীরে ধীরে আন্দোলন গড়ে তুলব এবং জনমত গড়ে তোলার কাজ করছি।