চট্টগ্রাম

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারি 

  প্রতিনিধি ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৭:৪৪:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মারামারি

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জে সড়ক উন্নয়নের কাজের বিরোধকে কেন্দ্র করে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিএনপির দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। সোমবার সন্ধ্যায় জোরারগঞ্জ থানার করেরহাট ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের শহীদ জাকির হোসেন সড়কের কাজ নিয়ে এই ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কয়লা জাকির হোসেন সড়কের কাজ নিয়ে বাকবিতন্ডা হয় স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন ও বিএনপি নেতা আহসান উল্লাহর মধ্যে। বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে । স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরে সন্ধ্যায় সিএনজি যোগে আনোয়ার হোসেনের অনুসারীরা পশ্চিম সোনাই গ্রামে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করার উদ্দেশ্যে যাচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সোনাই গ্রামের মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা শুনে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে পাল্টা ধাওয়া দেয়। এসময় দু’পক্ষের প্রায় ৮-১০ জন আহত হয়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। দু’পক্ষ থেকেই মামলার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান তারা।

সূত্রে জানা যায়, শহীদ জাকির হোসেন সড়কের ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ চলমান রয়েছে। রাস্তার ঠিকাদার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী পালিয়ে যাওয়ার কারণে সড়কের কাজ অসমাপ্ত রয়ে যায়। পরবর্তীতে কার্পেটিং এর কাজের জন্য উপজেলা থেকে সমন্বয় করে কাজের অনুমতি দেয়া হয়। এতে স্থানীয় বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন কংক্রিট সরবরাহ করে। অপরপক্ষ আহসানুল্লাহ নিম্নমানের কংক্রিট দিচ্ছে অভিযোগ করেন। এরই জের ধরে বাক-বিতণ্ডা এবং পরবর্তীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নুরুন্নবী, আব্দুল হাই, মোমিন, আহসানুল্লাহ, সোহাগ, ইমাম, হোসেন ও হাসান সহ ৮-১০ জন আহত হয়েছেন।

মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন জানান, কয়লা জাকির হোসেন সড়কের কাজ ৫ আগস্টের পর ঠিকাদার জাহাঙ্গীর কবির পালিয়ে যাওয়ায় কাজ বন্ধ ছিল। পরে স্থানীয় আনোয়ার, সোহাগ সহ কয়েকজনের অনুরোধে ইউএনও এবং এলজিইডি প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে পুনরায় কাজ শুরু হয়। কাজ শুরু হলে আনোয়ার, সোহাগ এবং কাজের মাঝি আহসান উল্লার সাথে ভুল বুঝাবুঝির এক পর্যায়ে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা উভয় পক্ষকে নিয়ে সমাধানের জন্য বসবো। 

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিফাতুল মাজদার জানান, সংঘর্ষের ঘটনা মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলেই আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

আরও খবর

Sponsered content