প্রতিনিধি ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৬:২৪:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রামের উলিপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ফ্রেন্ডস্ ফেয়ারের আয়োজনে সপ্তাহ ব্যাপি ২৯তম উলিপুর বইমেলা শুরু হয়েছে। এটি বাংলাদেশের উপজেলা পর্যায়ে প্রথম বইমেলা। শনিবার (২২ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উলিপুর শহীদ মিনার চত্বরে ২৯তম উলিপুর বইমেলা এর ভার্চুয়ালি শুভ উদ্বোধন করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মাননীয় উপদেষ্টা, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
এ সময় বইমেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে সপ্তাহব্যাপি উলিপুর বইমেলার সূচনা করেন বিশিষ্ট কবি ও কলাম লেখক, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান। বই মেলার আলোচনা সভায় ফ্রেন্ডস্ ফেয়ারের স্থায়ী পরিষদ সদস্য রেজওয়ানুল করিম লালনের সভাপতিত্বে এবং সদস্য তানজিয়া সরদার ও সাদিয়া ইসলাম রাইসার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এন এস আমিন রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শামীম আখতার আমিন, প্রথম আলোর কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি জাহানুর রহমান খোকন, ফ্রেন্ডস্ ফেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জুলফিকার আলী সেনা, রফিকুল ইসলাম আনসারি প্রমুখ।
আলোচনা সভায় প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হোসেন বলেন, আমি ঢাকা থেকে আনন্দ নিয়ে এসেছি। এখানে এসে দেখি আনন্দের মেলা। উলিপুরের আনন্দ সারা দেশ ও বিদেশে ছড়িয়ে পড়বে। বই মানুষকে আলোকিত করে। বই মেলা হলো সুন্দরের মেলা। উলিপুরের পরিবেশ সুন্দর করতেই এ বই মেলা। বই মেলায় বিভিন্ন ধরনের লেখকের সাথে দেখা হয়। উত্তর বঙ্গের শ্রেষ্ঠ কবি শামছুর রহমানের মত এখানে অনেক কবি তৈরি হোক। উপস্থিত শিক্ষার্থীদে বিভিন্ন মনিষির জীবনী পড়ার আহ্বান জানান। বইয়ের মাধ্যমে তাদের জীবনী জানতে পারবো।
আমরা শিক্ষার্থীদের বই কেনার জন্য উদ্বুদ্ধ করবো। শিক্ষার্থীদের বই কেনে দেয়ার দায়িত্ব অভিভাবকদের। বই মেলায় যারা উপস্থিত হয়েছেন সবার হাতে একঠি করে বই থাকলে তাহলে আজকের বইমেলা সার্থক হবে। বইমেলা অতীতকে বর্তমানের সাথে যুক্ত করে দেয়। মানুষকে কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় সমাজকে কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় তা বই মেলার বইয়ের মাধ্যমে জানা যায়। বড় বড় মানুষের চিন্তা চেতনা জানার জন্য এবং সেই চিন্তাকে অন্তরে ধারন করার জন্য বই পড়তে হবে। বেশি বেশি বই পড়লে আমাদেরকে আলোকিত মানুষ করে তুলবে। বই পড়লে রাষ্ট্র আলোকিত হবে সমাজে কোন হানাহানি মারামারি থাকবেনা দেশ মুক্তি পাবে। বইয়ের কদর বাড়াতে প্রতি বছর বইমেলার আয়োজন করার কথা বলেন তিনি।
জানা গেছে, সপ্তাহ ব্যাপি উলিপুর বইমেলা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। মেলায় প্রায় ১৮টি স্টল নিয়ে সাজানো হয়েছে। এখানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় গ্রন্থাগার ও লাইব্রেরী অংশ নেন।