রাজশাহী

পাবনায় ফলের দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে

  প্রতিনিধি ২৮ এপ্রিল ২০২১ , ১০:১২:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

smart

রনি ইমরান, পাবনা :

পাবনার মৌসুমী ফলের বাজারে ক্রেতাদের হতাশা ক্রমেই বাড়ছে। বৈশাখমাসের খরতাপে মত উত্তাপ ছড়াচ্ছে মৌসুমী রসালো ফলের বাজারে। দেশী বিভিন্ন ফলের দাম নাগালের বাইরে বলছেন ক্রেতারা।

রসালো আনারস আর সবুজ শীতল রসালো তরমুজ খেতে হলে ক্রেতাদের কেজি প্রতি গুনতে হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা বেশি। তরমুজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। আনারসও বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা বেশি দামে। ক্রেতা মো. হাবিবুল্লাহ পাবনা শহরের হামিদ রোডের ফুটপাত থেকে ইফতারির জন্য ফল কিনতে এসে পড়েছেন বিপাকে।

তিনি বলেন, রমজান মাসে তরমুজের দাম শুনে আমি হতাশ। রসালো ফল ফলাদির দাম যদি এতো বেশি হয় ইফতার করবো কি করে!

শহরের এ আর প্লাজার সামনে ফুটপাতে ফল বিক্রেতা সবুজ ক্রেতার এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বলেন, আমাদের দিকটাও একটু বিবেচনা করবেন। আমরা লকডাউনে ফলের ভাড়া দোকান ছেড়ে ফুটপাতে নেমেছি। পাইকারি ব্যবসায়ী ও আড়তদারদের কাছে থেকে ফল কিনে আমাদের বিক্রি করতে হবে। এবার পরিবহন খরচ বেশি। এছাড়া সিন্ডিকেট ও মধ্যস্থভোগীরা বেশি লাভবান হচ্ছে আমরা তো ফুটপাতে ছোটো ব্যবসায়ী।

 

পাবনার ফল ব্যবসায়ীরা রমজান মাসে সব ধরনের ফলের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি করে দিয়েছে এমনি অভিযোগ ক্রেতাদের তবে মহাজনরা এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছেন চাহিদার তুলনায় কম আমদানি হচ্ছে। দেশের বড় মোকাম বন্দরেই অস্বাভাবিক হারে ফল বেচা-কেনা হচ্ছে। করোনা কালে আমদানি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থা চলবে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

 

এদিকে দেশী ফল তরমুজ, বাঙ্গি, বেল, নোনা ফলসহ বিভিন্ন দেশীয় ফলম‚লের বাজার ব্যপক চড়া ম‚লে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। খুচরা বাজারে আপেল, কমলা, আঙুর, মালটা, প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে উন্নত মানের খেজুরের দাম স্বাভাবিক থাকলেও খোলা খেজুরের মূল্য বেড়েছে। বাজারে অস্বাভাবিক হারে ফল মূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা ব্যবসায়ীদের সাথে ক্রেতাদের বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটেছে। ব্যবসায়ীরা বলেন, কোন কৃত্রিম সংকট নয়, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক হলে কেবল বাজারে ফলের মূল্য কমবে বলে জানান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by