দেশজুড়ে

সীতাকুন্ডের বাঁশবাড়িয়ায় বোয়ালিকুল খালে ব্যাপক ভাঙন বিলিন হচ্ছে ঘর-বাড়ী

  প্রতিনিধি ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৬:৩৩:৩০ প্রিন্ট সংস্করণ

কামরুল ইসলাম দুলু, (সীতাকুন্ড) চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার ৬ নং বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বোয়ালীকুল খালে ব্যাপক ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে খাল পাড়ের আসে পাশের প্রায় শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি বিলীন হওয়ার পথে। কয়েকদিনে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় থেকে নেমে আসা পানির স্রোতে খালের ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয় এলাকাবাসী। খালের পাড়ের একাধিক বাসিন্দা জানান, কয়েক বছর ধরে বর্ষা মৌসুমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা খালে ভাঙন শুধু পরিদর্শনই করে যাচ্ছেন। ভাঙনরোধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বর্তমানে খালের দুই পাড়ের দুইশ পরিবার তাদের বসতভিটা হারানোর আতঙ্কে রয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় আনসার ভিডিপি কমান্ডার সামসুল শামসুল আলম বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে বহু বসতবাড়ি খালে বিলীন হয়ে গেছে। তাঁদের অনেকেই এখন পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কেউ কেউ এলাকায় গিয়ে বসবাস করছেন। কয়েকদিন আগে আমার পুরনো বসত ঘর খালে বিলিন হয়ে গেছে। খালের ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার হোসেন বলেন, কয়েক দিন আগে পানির স্রোতে আমার বসতভিটা ভেঙে খালে চলে গেছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন কোনো রকমে অতিকষ্টে বাস করছি। পাহাড়ের পাদদেশ থেকে সমুদ্র পর্যন্ত বোয়ালিয়া খালটি প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। খালের দুই পাড়ে অসংখ্য বাড়িঘর, দোকানপাট রয়েছে। পূর্বপাশে পাহাড়ি ঢলের পানি খাল হয়ে সাগরে গিয়ে পড়ে। অন্যদিকে সাগরের জোয়ারের পানি প্রতিদিনই ওই খাল দিয়ে আসা-যাওয়া করে। এ কারণে প্রচন্ড স্রোতে খালের দুই পাশের মাটি সরে নড়বড়ে হয়ে প্রতিদিনই খালের কোনো না কোনো অংশ ভেঙে পড়ছে। ভাঙন দেখা দেওয়ায় ইতিমধ্যে অনেকে বসতঘর অন্যত্র স্থানান্তর করেছে। এদিকে বোয়ালিয়া খালের ওপর নির্মিত সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। খালের পানির স্রোতের তোড়ে সেতুটির দুটি খুঁটির গোড়া থেকে মাটি সরে পড়েছে। এই সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন শত শত গাড়ি চলাচল করে। এছাড়া বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র বীচে প্রতিদিন দুর দুরান্ত থোকে শত শত পর্যটকদের গাড়ি যাতায়াত করছে এ সেতু দিয়ে। পানির প্রবল স্রোতে সেতুর খুঁটির গোড়া থেকে মাটি সরে যাওয়াতে চরম ঝুঁকির মধ্যে আছে সেতুটি। বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলী জাহাঙ্গীর বলেন, পানি বাড়ায় ওই খালের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করছে। খালের ভাঙন রোধে দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। গতবছর আমি স্থানীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের মাধ্যমে খালের কয়েকটি জায়গায় গাইডওয়াল নির্মাণ করেছি। এছাড়া আপদকালীন ভাঙন ঠেকাতে গত বছর প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে বালুর বস্তা দেওয়া হয়। এখন ভাঙনরোধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content