দেশজুড়ে

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, পিরোজপুরে প্রস্তুত ৫৫৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র

  প্রতিনিধি ১৯ মে ২০২০ , ৩:১২:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

পিরোজপুর প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় আম্ফান উপকূলের দিকে ধেয়ে আসার খবর পেয়ে জেলার নদ-নদী তীরবর্তী, নিম্নাঞ্চল ও চর এলাকার বাসিন্দাসহ জেলার মানুষ ও গবাদিপশু আশ্রয়ের জন্য ৫৫৭ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। পিরোজপুরসহ উপকুলীয় এলাকায় নেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন প্রস্তুতি। ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের কারণে সাগর বিক্ষুব্ধ অবস্থায় রয়েছে।

পিরোজপুর জেলা প্রশাসক আবু আলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, ঘুর্নিঝড় আম্ফানের কারণে শনিবার রাতে জরুরী মিটিং করে সাইক্লোন শেল্টার, শুকনো খাবার, মেডিকেল টিম, স্বেচ্ছাসেবক টিমসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসক জানান, জেলার ৭ উপজেলায় ৫৫৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুতি রাখা হয়েছে। এ সব আশ্রয় কেন্দ্রগুলো থাকার জন্য উপযুক্ত করার কাজ চলছে। সেখানে যথাযথবাবে বিদ্যুৎ সংযোগ, পানির ব্যবস্থা ও পয়: নিষ্কাসনসহ আশ্রয় কেন্দ্রে থাকাদের জন্য খাবার ক্রয়ের কাজ চলছে।

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পিযুষ কুমার চৌধুরী জানান, জেলার ৭ উপজেলায় ২৩৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানীয়দের আশ্রয় নেওয়ার পর অতিরিক্ত প্রয়োজন হলে আরো ৩২২ টি বেসরকারি আশ্রয় কেন্দ্রও প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।সরকারি ২৩৫ টি আশ্রয় কেন্দ্রের মধ্যে পিরোজপুর সদরে ২১ টি, জেলার নাজিরপুরে ৪১ টি, ইন্দুরকানীতে ১৯, মঠবাড়িয়ায় ৬১, কাউখালীতে ১১, ভান্ডারিয়ায় ৫৩, স্বরূপকাঠীতে ২৯, আশ্রয় কেন্দ্র সম্পূর্ণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ প্রয়োজন অনুযায়ী স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার ভবন আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. হায়াতুল ইসলাম খান জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য জেলার প্রতি থানার ওসিদের স্থানীয়দের নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহযোগিতার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে পরবর্তীতে পুলিশের উদ্যোগে সচেতনতামূলক মাকিং এর ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়াদের সার্বিক নিরাপত্তা রার জন্য পুলিশকে পাহারার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content