আন্তর্জাতিক

ভারতের ওডিশায় আঘাত হানলো আম্ফান

  প্রতিনিধি ২০ মে ২০২০ , ৪:১৬:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

ভারতের ওডিশার উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সেখানে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাস বইছে এবং ভারি বর্ষণ হচ্ছে। ঝড়ে বিদ্যুৎকেন্দ্র, স্থাপনা ও গাছপালার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

দেশটির জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম দ্য হিন্দুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২০ মে) সকাল থেকেই ওডিশার পারাদ্বীপে সর্বোচ্চ ১০৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। চান্দবালিতে ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়। বেলাশোরে ৫৭ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। আর ভুবনেশ্বরে ৫৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে গেছে। সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টিপাতও হচ্ছে। দুপুর ও বিকালের দিকে এই ঝড় আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রচণ্ড ঝড়ে গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় গাছ পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহের অবকাঠামো।

এ দিকে, ভারতের আবহাওয়া অফিসের বরাত দিয়ে দেশটির গণমাধ্যম এই সময় জানায়, সকাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করেছে। বেলা বাড়লেই শুরু হবে তাণ্ডব। ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হানতে পারে বিকাল বা সন্ধ্যা নাগাদ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সুন্দরবনের কাছ দিয়ে উপকূলে উঠে আসার সময় আম্ফান ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮৫ কিলোমিটার হতে পারে।

পথে কিছুটা দেরি হলেই ভয়াবহ বিপদের মুখে পড়ে যেতে পারে উপকূলীয় এলাকা। বড়সড় পরীক্ষার সামনে পড়বে সুন্দরবনের বাঁধ। কারণ, রাত পৌনে ৯টার সময় সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছবে জোয়ার।

এ দিকে, আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে পারে প্রলয়ংকারী এই ঘূর্ণিঝড়। উপকূলবর্তী এলাকায় ১০ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হচ্ছে। ১৫ মিটার উচ্চ জলোচ্ছাস বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

১০ নম্বর সংকেত থাকবে মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে। এছাড়া সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর এবং চাঁদপুর জেলাতেও দেখানো হচ্ছে দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by