প্রতিনিধি ১৮ এপ্রিল ২০২১ , ৭:০৮:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ
মধ্যরাতে খাবারের ব্যাগ হাতে হাসপাতালের ভবনের প্রতিটি ওর্য়াডে ঘুরেছে একদল যুবক। তাদের উদ্দেশ্য হাসপাতালে রোগীর সাঙ্গে থাকা স্বজনদের মাঝে সেহরী বিতরণ করা। প্রতিদিন ১০০ জন মানুষের জন্য খাবার তৈরি করা হয়। বাসা বাড়িতে রান্না করা এসব খাবার নিয়ে বক্সে করে হাসপাতালে রোগীর সাথে রাত কাটানো স্বজনদের কাছে পৌঁছে দেয় তারা। রাত একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত চলে তাদের এ কার্যক্রম। শনিবার রাতে এমন চিত্র দেখা গেছে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে।
সদস্যদের স্বেচ্ছাশ্রমে টাকায় কেনা হয় এ সব খাবারের বাজার। এরপর ঘরেই তা রান্না করা হয়। সাদামাটা আয়োজনে থাকে খেচুড়ি কোন দিন আবার সাদা ভাত, ডাল এবং মুরগীর গোস্ত সাথে বোতলজাত খাবার পানি। রমজানের প্রতিদিন রাতে একদল যুবক একটি অটো রিকশাতে করে বেরিয়ে যান খাবার বিতরণের এই কাজে। হাসপাতালে রোগীর স্বজন রেহানা আক্তার জানান, তিনি মহেশপুর উপজেলা থেকে তার ছেলেকে নিয়ে এসেছেন।
রাতে কি খেয়ে রোজা থাকব চিন্তাই ছিলাম কিন্তু দেখি এক দল ছেলে এসে আমাকে একটি খাবার পেকেট দিয়ে বলে রাতের সেহেরীটা আপনার জন্য। অপর এক ব্যক্তি জানান, রাতে তার খাবার নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। সেহেরী না খেয়ে রোজা রাখতে হবে ধরেই নিয়েছিলাম কিন্তু কয়েকটা ছেলে গভীর রাতে খাবারের প্যাকেট দিয়ে যায়। এটা খেয়ে রোজা রেখেছি।
সেহরী বিতরণের উদ্যোক্তা বিশিষ্ট নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠক শামীম আহম্মেদ টফি জানান, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীরা নিয়মিত খাবার পেলেও সঙ্গে থাকা স্বজনরা বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসেন।
বিশেষ করে গরমের সময় রোগীর স্বজনরা ভোরে সেহরী খেতে পারেন না। বেশিরভাগ সময় সেহরী না করেই রোজা রাখে। তাই তাদের কথা চিন্তা করেই এই উদ্যোগ।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ হারুন অর রশিদ জানান, এমন উদ্যোগের কথা শুনে খুবই ভাল লাগছে। এই মহৎ কাজের মাধ্যমে আয়োজকরা আল্লাহ পাকের রহমত পাবেন বলে মনে করি।