আইন-আদালত

শ্লীলতাহানির মামলায় জামিন পেয়েছেন কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন

  প্রতিনিধি ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৪:৫৭:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

এক নারীর শ্লীলতাহানির মামলায় রাজধানীর সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাসকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম মাহমুদা আক্তার চিত্তরঞ্জনকে জামিন দেন।

সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন চিত্তরঞ্জন দাস। দুপুরের দিকে শুনানি শেষে আদালত পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন দেন। গত শনিবার শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক নারী সবুজবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সবুজবাগ কালীবাড়ি রাস্তা সংলগ্ন ওই নারীর শ্বশুরের দোকান রয়েছে। তার পাশের চা দোকানদার নিজের দোকান সংস্কার করতে চাইলে কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস গরীব চা দোকানদারের কাছে ৪০ হাজার টাকা দাবি করেন। চাঁদার ব্যাপারে সত্যতা যাচাই করার জন্য ওই নারী রাত পৌনে ৮টার দিকে চিত্তরঞ্জন দাসকে মোবাইলে ফোন দেন। চিত্তরঞ্জন দাস তাকে রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে তার রাজারবাগ কালীবাড়ি কার্যালয়ে যেতে বলেন।

রাত পৌনে ১০টার দিকে ওই নারী স্বামীসহ সেখানে যান। চাঁদার বিষয়ে জানতে চাইলে চিত্তরঞ্জন দাস দুই চারটি কথা বলে তাকে পাশের কক্ষে বসতে বলেন। এর একটু পরে চিত্তরঞ্জন দাস ওই কক্ষে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। ওই নারীকে বসা থেকে উঠে দাঁড়ানোর জন্য বলেন। ওই নারী উঠে দাঁড়ালে চিত্তরঞ্জন দাস তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে তাকে কু-প্রস্তাব দেন। মান-সম্মানের ভয়ে ওই নারী কোনো চিৎকার করেননি বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।

চিত্তরঞ্জন দাস তাকে পরের দিন আবার সেখানে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ওই নারী কোনো রকম নিজেকে রক্ষা করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। বাদী একজন গণমাধ্যমকর্মী বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।

এর আগে, গত শুক্রবার রাতে চিত্তরঞ্জনের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। চিত্তরঞ্জন দাস এ অনৈতিক ও আপত্তিকর ভিডিও প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে জানান, ‘একটি নাটকের জন্য দৃশ্যটি ধারণ করা হয়েছিল।’

চিত্তরঞ্জন দাসের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাতেন, সৈয়দ আহমেদ গাজী, মিজানুর রহমান মামুনসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by