প্রতিনিধি ৭ নভেম্বর ২০২১ , ৫:২৮:৫৬ প্রিন্ট সংস্করণ
সাকিল আহমেদ, পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:
দেশের সর্বাধিক ব্যবহৃত জ্বালানি ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জের হিসেবে গণপরিবহণ খাতে আকস্বিক ধর্মঘটের পরপরই দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পাথরঘাটা সহ বরগুনা জেলার প্রায় দুই হাজার মাছ ধরা ট্রলার সাগরে যাওয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী বরাবর কয়েক দফা দাবি উল্লেখ করে স্বারকলিপিও প্রদান করেছে মৎস্যজীবীরা।
ডিজেলের দাম কমাতে হবে, মৎস্য সেক্টর রক্ষা করতে হবে’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে রোববার বেলা ১১ টায় পাথরঘাটা পৌর শহরের শেখ রাসেল স্কয়ার চত্বরে মানববন্ধন করেছে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার সমিতি, বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতি ও বিএফডিসি ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নসহ মৎস্য সেক্টরের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংগঠনসহ কয়েক হাজার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
পরে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মাধ্যমে ৩ দফা দাবি উলেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে একটি স্বারকলিপি প্রদান করেন। দাবিগুলো হলো, অনতিবিলম্বে জ্বালানি তেলের মুল্য কমিয়ে পুর্বের নির্ধারিত মুল্য নির্ধারণ করা,বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশী জলসীমায় বিদেশী ট্রলার অনুপ্রবেশ বন্ধ করা এবং দেশীয় জলসীমায় নির্ধারিত জায়গায় ট্রলিং জাহাজ বাইচ করা নিশ্চিত করা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম মিয়া, পাইকার সমিতির সভাপতি সাফায়েত মুন্সি, আড়তদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসাইন, পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাঁকন, বিএফডিসি মৎস্য বাজার ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো.ফারুক আকন, ওযাকশপ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন এসমে প্রমুখ। বক্তারা দাবি করেন, অনির্দিষ্টকালের জন্য আজ থেকেই দেড় হাজার মাছ ধরা ট্রলার সাগরে যাওয়া বন্ধ, পাশাপাশি এখন যেসকল ট্রলার সাগরে আছে সেসকল ট্রলার কুলে আসবে আর সাগরে যেতে দেয়া হবেনা।
কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাঁকন বলেন, দেশের গুটিকয়েক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী ডিজেল কালো পথে পাচার করে। তাদেরকে আইনের আওতায এনে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নিলে তেলের যেমন সংকট হবে না তেমনি অসাধু ব্যবসাযীরা মূল্য বৃদ্ধি করতে পারবেনা।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ ভোরের দর্পনকে জানান, রবিবার বেলা সাড়ে বারোটার দিকে মৎস পেশায় সংশ্লিষ্ট কয়েক শ মানুষ এসে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি পৌঁছানো হবে।