প্রতিনিধি ৮ নভেম্বর ২০২২ , ৪:৪৫:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ
অবৈধভাবে আসা বা চোরাচালানের সময় জব্দ করা সোনা নিলামে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২৫ কেজি বিক্রি করা হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক নিলাম বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এক লটে ২৫ হাজার ৩১২ গ্রাম (২৫.৩১ কেজি) বা ২ হাজার ১৭০ ভরি সোনা বিক্রি করা হবে। তবে যে কেউ চাইলেই এই সোনা কিনতে পারবে না। শুধুমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যবসায়ীরাই নিলামে অংশ নিয়ে সোনা কিনতে পারবেন।
নিয়ম অনুযায়ী নিলামে অংশ নিতে সোনা ব্যবসায়ীদের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, মূসক নিবন্ধন, টিআইএন সনদ, বিআইএন সনদ, সোনা ক্রয়, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্যপদ, মজুত ও সরবরাহের লাইসেন্স, আর্থিক সচ্ছলতার বিষয়ে ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সনদ, আবেদনকারী প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত লিমিটেড কোম্পানি হলে কোম্পানির নিবন্ধন সনদ, আয়কর পরিশোধের হালনাগাদ সনদ, মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন, আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশন ও পরিচালকদের হালনাগাদ তালিকা জমা দিতে হবে।
আগ্রহী ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয় থেকে আগামী ১৪ থেকে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত দুই হাজার টাকা জমা (অফেরতযোগ্য) দিয়ে দরপত্র শিডিউল ক্রয় করতে পারবেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে নিলামে অংশ নেওয়ার জন্য যোগ্যদের একটি তালিকা করবে। যেসব সোনার বার, অলঙ্কার, টুকরা বিক্রি করা হবে তা প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের অস্থায়ী খাতে প্রায় দুই হাজার ৯০০ কেজি এবং স্থায়ী খাতে ১৫৯ কেজি সোনা রয়েছে। স্থায়ী খাত থেকে ২৫ কেজি সোনা বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দেশের বিমান, স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে অবৈধভাবে আসা সোনা জব্দ করে। জব্দ সোনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখা হয়। জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার রায় সরকারের পক্ষে এলে নিলামের মাধ্যমে জব্দকৃত সোনা বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার মূল্য ৮০ হাজার ১৩২ টাকা। ২১ ক্যারেটের সোনা ৭৬ হাজার ৫১৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৬৫ হাজার ৫৫২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম ৫৪ হাজার ৩৫৪ টাকা।
সুনির্দিষ্ট হিসাব না থাকলেও দেশে বছরে প্রায় ২০-৪০ টন সোনার চাহিদা রয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান। তার মাত্র ১০ শতাংশ চাহিদা পুরোনো অলংকার দিয়ে মেটানো হয়। তাই বৈধভাবে সোনার চাহিদা মেটাতে ও ব্যবসায় স্বচ্ছতা ফেরাতে ২০১৮ সালে একটি বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ ১৯টি প্রতিষ্ঠানকে সোনা আমদানির লাইসেন্স দেওয়া হয়। এখন পর্যন্ত সাড়ে চারশ’ থেকে ৫০০ কেজি সোনা আমদানি হয়েছে। ফলে এখনও চাহিদা পূরণ হচ্ছে অবৈধভাবে আসা সোনা দিয়ে।