চট্টগ্রাম

৮ কিঃমিঃ সড়কে পাল্টে যাচ্ছে বাইশারীর আলীক্ষ্যং এর চিত্র

  প্রতিনিধি ২০ ডিসেম্বর ২০২২ , ৯:৩৫:২১ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ শহীদুল ইসলাম,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :

পার্বত্য জেলা বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের আলীক্ষ্যং এলাকায় লেগেছে উন্নয়নের ছোয়া।
স্থানীয়রা বলছেন উপজেলার প্রত্যন্ত জনপদে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুরের আন্তরিকতার ফসল হিসেবে পাল্টে যাচ্ছে আলীক্ষ্যং গ্রামের চিত্র।

ঘুরে যাচ্ছে অর্থ নীতির চাকা। পরিবর্তন হবে হাজারো মানুষের ভাগ্য এমনটাই জানালেন আলীক্ষ্যং এলাকার বাসিন্দারা। ইতি মধ্যে এই দুর্গম জনপদে পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ এর আলো। এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নে পার্বত্যমন্ত্রীর অবদানের কথা স্বীকার করেছেন অবঃ শিক্ষক ডা,কবির উদ্দিন সহ অনেকে স্থানীয় বসবাসকারী জনসাধারণ।

ইদগড় -আলীক্ষ্যং হেডম্যান পাড়া,বৌদ্ধ বিহার,ভায়া মিরঝিরি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়কের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে,সড়কটির নির্মান কাজ সম্পন্ন হলে পাল্টে যাবে আলীক্ষ্যং এর চিত্র।
জীবনযাত্রা ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে আসবে আমুল পরিবর্তন,পরিবর্তন আসবে হাজারো মানুষের জীবন ও জীবিকায়।

নাইক্ষংছড়ি এল জিইডির বাস্তবায়নে দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার সড়কের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।২১/২২ অর্থবছরে প্রায় সাড়ে ১৩ কোটি টাকা ব্যায়ে সড়ক উন্নয়ন ও কার্পেটিং এর কাজ চলমান রয়েছে।ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মোমিনুল হক এবং ইউটিমং (জেভি) এর তত্বাবধানে কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার মোঃ আবুল কালাম জানান কাজের সার্বিক গুনগত মান ঠিক রেখে আমরা কাজ করে যাচ্ছি,সার্বক্ষনিক কাজ তদারকি করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে নাইক্ষংছড়ি এল জিইডি উপজেলা প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, সার্বক্ষণিক এলজিইডির দায়িত্বশীল লোকজন সড়কের কাজ তদারকি করছেন,কোন ধরনের অনিয়ম হওয়ার কোন উপায় নেই ।

কাজের বিষয়ে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর এমপির আন্তরিকতায় শুধু আলীক্ষ্যং সড়ক নয় বাইশারী ইউনিয়নের আনাচে কানাচে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে।
স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজ, রাস্তাঘাট, মসজিদ, মন্দির, বৌদ্ধ বিহার, বিদ্যুৎ সহ নানা মুখী উন্নয়ন হয়েছে এবং চলমান রয়েছে।

সরজমিনে আলীক্ষ্যং এলাকা ঘুরে দেখা যায়। সড়কের উভয় পার্শ্বে রয়েছে হাজার একর রাবার বাগান।সড়ক নির্মাণ হলে এই শিল্পের সাথে জড়িতরা বেশি উপকৃত হবে। রাবার শ্রমিকরা রাবার কাঁধে অথবা হালকা মোটর সাইকেল এ করে অল্প অল্প রাবার একস্থান হতে অন্য স্থানে বহন করে তবে রাস্তার সম্পুর্ন কাজ শেষ হলে এই কস্ট অনেকটা দুর হবে এবং বেশি পরিমানে রাবার পরিবহন করা সহজ হবে বলে জানালেন একজন রাবার ক্রেতা।
এতে করে যেমন জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আসবে সাথে বাড়বে রাবার খাতে সরকারি রাজস্ব আহরনের পরিমান।
এছাড়া পরিবহনের সুবিধার কারনে পাহাড়ে উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য দ্রুত বাজারজাত করাটাও সম্ভব হবে ফলে কৃষি কাজের সাথে জড়িত জনসাধারণের জীবনমানের উন্নয়ন হবে,যোগাযোগ ব্যাবস্থা সহজ হওয়ার কারনে বাড়বে জায়গার মূল্য।এই অঞ্চলের স্থানীয় জনসাধারণ মনে করেন এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের ইচ্ছে ও পার্বত্য মন্ত্রীর প্রচেষ্টায়।