চট্টগ্রাম

লক্ষীপুর সদর হাসপাতালের পকেট গেইটে নিরাপত্তার শঙ্কা

  প্রতিনিধি ৩ এপ্রিল ২০২৩ , ৫:৩৯:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

লক্ষীপুর প্রতিনিধি :

রোগ নিরাময়ে মানুষ যায় হাসপাতালে। চিকিৎসক দেন সেবা আর কর্তৃপক্ষ দিবেন নিরাপত্তা। এমনটি নিয়ম থাকলেও ল²ীপুর সদর হাসপাতালে ঘটছে উল্টোটা।
চিকিৎসকগণের খামখেয়ালী আসা-যাওয়া, সেবার বেহাল দশা, দালালদের দৌরাত্ম্য, বখাটে ও মাদকাসক্তদের আড্ডাখানা, নানা অজুহাতে নার্স এবং স্টাফদের অতিরিক্ত অর্থ আদায়সহ বিভিন্ন কারণে বিতর্কিত হাসপাতালটি। এবার নতুন বিতর্কে জড়ালো সরকারি এই প্রতিষ্ঠান। অনৈতিক সুবিধায় বাড়িতে আসা-যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট একটি পরিবারকে হাসপাতাল এলাকা ব্যবহার ও পকেট গেইট নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এমন কাণ্ডে সরকারি এই হাসপাতালটির নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটনা আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
তবে অভিযোগগুলো অস্বীকার করছে খোদ সিভিল সার্জন ডা. আহাম্মদ কবীর। তিনি বলছেন, মানবিক কারণে একটি পরিবারকে হাসপাতাল এলাকা ব্যবহার করতে দিয়েছেন। তবে হাসপাতালের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটলে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, লক্ষীপুর সদর হাসপাতালের নতুন ভবন সংলগ্ন জমিতে আবুল কালাম নামের এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করছেন। সম্প্রতি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তার জন্য আবুল কালামদের বাড়ির গেইট ছাড়া বাকী অংশে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। তাতেই শুরু হয় বিতর্কের।
সদর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, সীমানা প্রাচীর ও কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে বখাটে এবং মাদকসেবীদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে হাসপাতাল এলাকা। তাছাড়া অবাধে মানুষ চলাচল করায় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে রোগী ও চিকিৎসকরা। এখন সেই ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দিয়েছে আবুল কালামকে বাড়ির গেইট নির্মাণ ও হাসপাতাল এলাকা ব্যবহারের সুবিধা দিয়ে। অথচ এই কালাম হাসপাতালটির ৫ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে আছে। সেটি উদ্ধারে কার্যকর কোন পদক্ষেপ নেয়নি সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগগুলোর বিষয়ে আবুল কালাম বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছরের ও অধিক সময় ধরে এখানে (মালিকানাধীন জমিতে) বসবাস করছি। কখনো রোগী কিংবা ডাক্তারদের কোন সমস্যা হয়নি। সম্প্রতি সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সময় আমার অনুরোধে বাড়িতে প্রবেশের জন্য কিছু জায়গা খালি রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যা কোন অনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে নয়, এটি কেবল মানবিক কারণে রাখা হয়েছে। আর কেউ তাকে গেইটও নির্মাণ করে দেয়নি

আরও খবর

Sponsered content

Powered by