রংপুর

বৈরি আবহাওয়া ও দরপতনে ঠাকুরগাঁওয়ে দ্রুত আলু তুলছেন কৃষক

  প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৯:২৬:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

 

আসাদুজ্জামান শামিম, ঠাকুরগাঁও :

ঠাকুরগাঁওয়ের বিভিন্ন হাট-বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। শুরুতে বাজারদর ভাল থাকায় কৃষকেরা খুশি ছিল। তবে বৈরি আবহাওয়া ও দাম কমে যাওয়ায় ক্ষেত থেকে তারাহুড়ো করে আলু তুলছেন তারা। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে অনেকেই আলু লাগালেও দাম কমার ভয়ে কম দামেই আলু বিক্রি করে দিচ্ছেন। অন্যদিকে এ বছর কোল্ড ষ্টোরেজে বস্তাপ্রতি ভাড়া অনেক বৃদ্ধি পাওয়ায় আলু নিয়ে কিছুটা বিপাকে পরেছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা। জেলার বিভিন্ন হাট বাজারে কার্ডিনাল জাতের আলু কয়েকদিন পূর্বেই ২০-৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা বিক্রি হতে দেখা যায়। গ্যানেলা জাতের আলু কেজি প্রতি ৪-৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী আলু প্রতি কেজি (পুরাতন ও নতুন) ৮-১৫ টাকা দরে। এছাড়াও এন্টারিজ, গ্যানেলা, ডায়মন্ড, শাগিতা, ভোজাগোল্ড জাতের আলুও খুবই কম দামে বিক্রি হতে দেখা যায়। তবে এ দামের সাথে আড়তের দামের মূল্য মিলবে না।

 

অপরদিকে বাজারে বেশ কিছু কোম্পানির আলু বীজ বিক্রি হলেও কৃষকেরা নিজ উদ্যোগে বীজের আলুর জন্য কিছু আলু রেখেছেন। শনিবার সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের পটুয়া এলাকায় দেখা যায় কার্ডিনাল জাতের আলু তারাহুরা করে তুলে নিচ্ছেন এক কৃষক। তিনি জানান, দাম অনেক কমেছে। রমজানকে উদ্দেশ্যে করে আলু লাগালেও আর অপেক্ষা করতে চাইছেন না তিনি, তাই তিনি অতিরিক্ত শ্রমিক লাগিয়ে এভাবে দ্রুত ক্ষেত থেকে আলু তুলে নিচ্ছেন। কৃষি বিভাগের মতে এ বছর আলুর বাম্পার ফলন হয়। এ বছর জেলায় আলুর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৬ লাখ ৭৯ হাজার ৭৯৮ মেট্রিক টন। এর মধ্যে এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ২৭ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে। যা গত বছরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৭ হাজার ৬০২ হেক্টর জমি। যাতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমি। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৫ লাখ ৯২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন।

সদর উপজেলার আরাজী ঝাড়গাঁও মোলানী গ্রামের কৃষক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি এ বছর দেড় বিঘা (৭৫ শতক) জমিতে কার্ডিনাল জাতের আলু লাগিয়েছিলেন। প্রথম ধাপে আলু তুলে ভাল দামে বিক্রি করলেও দম কমতে থাকায় তিনিও সম্পুর্ন আলু কম দামেই বিক্রি করেছেন।

এ ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন জানান, জেলায় এ মৌসুমে গত বছরের চেয়ে বেশি পরিমানে জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। ২ দিনের বৈরি আবহাওয়া, ঝড় ও বৃষ্টির কারণে আলুর তেমন একটা ক্ষতি হয়নি। বর্তমানে বাজারে আলু কিছুটা কম দামে বিক্রি হলেও সামনের দিনে কৃষকেরা ন্যায্য মূল্য পাবেন বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by