চট্টগ্রাম

বান্দরবানে জমে উঠছে ঈদের বাজার

  প্রতিনিধি ১৮ এপ্রিল ২০২৩ , ৭:২৩:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ শহীদুল ইসলাম,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :

ঈদ মানে আনন্দ,আর কয় দিন পর মুসলমানদের ধর্মীয় প্রধান উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর।এক মাসের দীর্ঘ সিয়াম সাধানার পর সকলের কাছে ঈদের আনন্দ নিয়ে আসে বাধভাঙ্গা আনন্দের জোয়ার।আর তাই ঈদ কে সামনে রেখে সমাজের সকল স্থরের মানুষের কেনাকাটার প্রস্তুতির যেনো কমতি থাকে না।

নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী পরিবারের বাবা,মা,ভাই,ভোন ও আত্বিয় স্বজনের জন্য পছন্দের কাপড়চোপড় কিনতে ভিড় জমান শহরের মার্কেট গুলোতে।

সারা দেশের মতো বান্দরবানেও এর ব্যাতিক্রম নেই,ঈদের কয়েক দিন আগে থেকেই মার্কেট গুলোত ক্রেতা সাধারণের ভিড় চোখে পড়ার মতো।

সকাল থেকেই কাপড়ের দোকান গুলো ব্যাস্ত সময় পার করে ক্রেতাদের পছন্দ সই একের পর এক কাপড় দেখাতে ব্যাস্ত তারা।

সরজমিনে বান্দরবানের কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায় নিজেদের পছন্দের কাপড় কিনতে পেরে  অত্যন্ত আনন্দ দোকানে আগত ক্রেতা সাধারণ,পাশাপাশি ক্রেতাদের বাজেটের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পণ্যের উপর ডিসকাউন্টেরও ব্যাবস্থা রেখেছেন কিছু কিছু বিক্রেতা।

ঈদের কেনাকাটা করতে আশা  মোঃ শামিম একজন ক্রেতা জানালেন দাম একটু বেশি হলেও ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করে নেয়া আর সবাইকে খুশি রাখার জন্য পছন্দের কাপড়টাই কেনার চেস্টা করছেন।

ঈদের কেনাকাটার বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রর একজন সরকারি কর্মকর্তা জানালেন বছরে বেতন অতো বাড়ে না যে পরিমান কাপড়চোপড় আর অন্যান্ন জিনিসপত্রের দাম বাজারে বাড়ছে।আর তাই তিনি মনে করেন নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ঈদে নিজেদের বাজেট টা মাথায় রেখেই পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করতে হয়।

এদিকে স্বপ্নপূরী দোকানের স্বত্বাধিকারী মোঃ খোরশেদ  জানালেন ক্রেতা সাধারণের কথা মাথায় রেখে স্বল্প লাভে তারা মানসম্মত পণ্য গুলোই ক্রেতা সাধারণের হাতে তুলে দেয়ার চেস্টা করেন।তাছাড়া বয়স অনুপাতে বিভিন্ন কাপড়ের উপর ডিসকাউন্ট সুবিধাও রাখা হয়েছে বলে তিনি জানান।

আবার অনেক ক্রেতাই জানালেন ঈদ কে সামনে রেখে কেনাকাটা করাটাও যেনো দুরহ হয়ে উঠেছে  নিম্ন মধ্যবিত্ত আয়ের বেতনভুক্তদের,তার পরেও নিজের ও পরিবারের মানুষদের জন্য সাধ্য মতো কেনাকাটা করছেন।

এদিকে এবারের ঈদ বাজারে ছোট বড় সকলের পোষাকের বাজার বেশির ভাগই দখল করে আছে ইন্ডিয়ান কাপড়চোপড়।দোকানিরা বলছেন এ সকল কাপড় আমদানিতেও খরচ হচ্ছে আগের চেয়ে বেশি আর এ কারনেই পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে দাম টা একটু বেশি,তার পরেও ক্রেতা সাধারণের কথা বিবেচনা করে প্রায় প্রতিটি দোকানেই ক্রতাদের জন্য থাকচে ডিসকাউন্টের ব্যাবস্থা।

কাপড়চোপড়ের পাশাপাশি ভিড় জমেছে কসমেটিকস আর ক্রোকারিজের দোকানেও,অনেকে কাপড়চোপড়,নতুন জুতো কেনাকাটার পাশাপাশি নিজেদের ঘরকে সাজাতে কিনছেন ঘর সাজানোর জিনিসপত্র।

এদিকে ঈদ বাজার কে সামনে রেখে প্রশাসনের পক্ষ হতেও নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যাবস্থা,নিরাপত্তা ব্যাবস্থা নিশ্চিতে প্রায় প্রতিটি মার্কেটের সামনেই দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের সতর্কতামূলক পাহাড়া।

এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এস.এম শহিদুল ইসলাম জানান জেলা পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম পিপিএম এর সার্বিক নির্দেশনায় আসন্ন পবিত্র  ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দুই স্থরের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে।এবং সাতটি পিকেট কাজ করছে।নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে  মার্কেটে কেনাকাটা করতে আশা জনসাধারণের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে প্রায় প্রতিটি মার্কেটেই পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও যারা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যাবেন তাদের নিরাপত্তায় বাস স্টেশন ও বাসে পর্যাপ্ত পুলিশ সদস্য গণ দায়িত্ব পালন করছেন।সকলে নির্বিঘ্নে পরিবার পরিজন নিয়ে যেনো ঈদ করতে পারে এ জন্য বান্দরবান জেলা পুলিশ সার্বিকভাবে নিয়োজিত রয়েছে।