প্রতিনিধি ১৬ অক্টোবর ২০২০ , ১১:১৯:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোরের দর্পণ অনলাইন:
তামিম একাদশের দেয়া ২২২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে, মাত্র ১৭৯ রানেই গুটিয়ে গেছে শান্ত একাদশ। ফলে আসরে ১ম হারের দেখা পেল শান্ত বাহিনী।
একাই দলকে টানার চেষ্টা করলেও, সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আউট হয়ে যান মুশি।
এর আগে মিরপুরে দিবারাত্রির ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে তামিম একাদশ। আগের ম্যাচে মাত্র ১০৩ রানে অলআউট হওয়ার পর, এদিন অবশ্য ব্যাটিংয়ে নেমে বেশ সতর্কতার সঙ্গে শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল। তবে তার সঙ্গী তানজিদ তামিম বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। মাত্র ৮ রান করে আউট হন তিনি।
এনামুল বিজয়ও সুবিধা করতে পারেনি। তার সংগ্রহ ১২ রান। আগের ম্যাচে শুন্য রানে আউট হওয়া মোহাম্মদ মিঠুন এদিনও ব্যর্থ। মাত্র ৪ রান করে নাইম হাসানের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
পঞ্চম উইকেটে সাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৩৩ রান করে নাইম হাসানের বলে আউট হন তামিমও।
দিপুও ফেরেন ৩১ রান করে। মোসাদ্দেক সৈকতের সংগ্রহ ১২ রান। যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক আকবর আলীও সুবিধা করতে পারেননি ব্যাট হাতে। মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন তিনি। প্রতিশ্রুতিশীল অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনের সংগ্রহ ৩ রান।
দলীয় শতরান পূর্ণ হওয়ার পরপরই ৮ উইকেট হারিয়ে আরও একবার বিপর্যয়ে পড়ে তামিম একাদশ। তবে উদ্ধারকর্তা হয়ে আসেন শেখ মেহেদী হাসান। তাইজুল ইসলামকে নিয়ে এগিয়ে নেন দলকে। শেষদিকে ঝড় তুলে ৫৭ বলে ৮২ রানের একটি ইনিংস খেলেন মেহেদী। অন্যদিকে ৪৩ বলে ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন তাইজুল। দু’জনের ব্যাটে চড়ে ২২১ রানের সংগ্রহ পায় তামিম একাদশ।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি শান্ত একাদশেরও। কোনোভাবেই শনির দশা কাটিয়ে উঠতে পারছেননা ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তরুণ ওপেনার সাইফ হাসান। অধিনায়ক শান্তও আউট হয়ে যান মাত্র ১ রানে।
দীর্ঘসময় ক্রিজে টিকে থাকার চেষ্টা করেন সৌম্য সরকার। তবে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসার আগেই তাকে সাজঘরে ফেরত পাঠান মুস্তাফিজুর রহমান। তার আগে ৪৬ বলে ৯ রান করেন সৌম্য।
আফিফ ফেরেন ১৫ রান করে। আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুর এদিন সুবিধা করতে পারেননি। দু’জনের সংগ্রহ যথাক্রমে ৪ ও ২৪।
সবার আসা-যাওয়ার মিছিলে শক্ত হাতে উইকেট আগলে রেখেছিলেন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। একপ্রান্ত আগলে তুলে নেন আসরের ১ম সেঞ্চুরি। আস্তে আস্তে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন জয়ের দিকে। তবে ইনিংসের ৪৫তম ওভারে মুস্তাফিজের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। তার আগে খেলেন ১১১ বলে ১০৩ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।
তার আউট হওয়ার পরপরই শেষ হয়ে যায় দলের জয়ের সম্ভাবনা। ১৭৯ রানে গুটিয়ে যায় শান্ত একাদশ।
ম্যাচে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ উইকেট শিকার করেছেন তরুণ বাঁহাতি বোলার শরিফুল ইসলামও।