দেশজুড়ে

আইসিএসইটিইপি’র প্রকল্প পরিচালক হিসেবে আমিনুল হকের যোগদান

  প্রতিনিধি ২১ নভেম্বর ২০২৩ , ৪:১৮:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ

আইসিএসইটিইপি’র প্রকল্প পরিচালক হিসেবে আমিনুল হকের যোগদান

ইমপ্রুভিং কম্পিউটার এন্ড সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং টারশিয়ারিং এডুকেশন (আইসিএসইটিপি) প্রকল্পে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক হিসেবে যোগদান করেছেন বিশিষ্ট তথ্য প্রযুক্তিবিদ এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসার ড. আমিনুল হক আকন্দ।

তিনি রবিবার (১৯ নভেম্বর ২০২৩) ইউজিসি (ইউনিভার্সিটি গ্র্যান্ড কমিশন) এর সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. শামসুল আরেফিনের নিকট যোগদান পত্র পেশ করেন। এ সময় ইউজিসি এর পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়াসহ কমিশনের জৈষ্ঠ্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

যোগদান শেষে তিনি ইউজিসি এর চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য প্রফেসার ড. মোহাম্মদ আলমগীরের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। বাংলাদেশে আইসিটি খাতের উন্নয়নে এবং দক্ষ মানবশক্তি গড়ে তোলার জন্য গৃহীত আইসিএসইটিপি প্রকল্পের বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা। মোট ব্যয়ের ৮৭.৭২% এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর ঋণ এবং বাকি ১২.২৮% বাংলাদেশ সরকার বহন করবে।

আইসিএসইটিপি প্রকল্পের আওতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসইসি বিভাগের নতুন ভবন/অবকাঠামো নির্মাণ ও আধুনিক ল্যাব ও যুগোপযোগী কারিকুলাম গড়ে তোলা হবে। এছাড়া দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে গবেষণা পরিচালনার জন্য সহায়তা প্রদান করা হবে। ড. আকন্দ আইসিএসইটিপি প্রকল্পে তাকে পূর্ণকালীন প্রকল্প পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এই প্রকল্পের আওতায় কম্পিউটার ও আইসটি বিষয়ে দক্ষ মানব সম্পদ তৈরি এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হবে বলে জানান। তিনি বলেন, দেশের শ্রমনির্ভর বিভিন্ন খাতকে প্রযুক্তি দক্ষতাসম্পন্ন জনবল সরবরাহের মাধ্যমে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে এ প্রকল্প সহায়ক হবে।  তিনি প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। উল্লেখ্য যে,

 উল্লেখ্য যে, ড. আমিনুল ২০০১ সালে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০০৯ সালে জাপানে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সি এর উপর পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। এর আগে ২০২১ সালে তিনি বিশ্বসেরা গবেষক হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছেন। এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স নামের একটি আন্তর্জাতিক  খ্যাতনামা সংস্থা সারা বিশ্বের ২০৬টি দেশের ১৩,৫৩৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত লক্ষাধিক বিজ্ঞানীর সাইটেশান এবং অন্যান্য ইনডেক্সের ভিত্তিতে এই তালিকা প্রকাশ করেছিল। এছাড়া আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নাল ও কনফারেন্সে ড. আকন্দ এর শতাধিক গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে এবং তিনি একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন। তিনি শিক্ষকতা ও গবেষণার পাশাপাশি কুয়েটে হেকেপ হাইটেক পার্কসহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে যুক্ত ছিলেন। 

ড. মো. আমিনুল হক আকন্দ ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল থানার শেরপুর গ্রামের কৃতি সন্তান। তিনি নান্দাইল চন্ডিপাশা হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করার পর নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন ভৈরব রেলওয়ে হাই স্কুলে। এই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি পাশ করেছেন ১৯৯১ সনে। তারপর এইচএসসিতে ভর্তি হন নান্দাইল শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজে। এই কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে এইচএসসি পাশ করেছেন ১৯৯৩ সনে। অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি সমাজ উন্নয়নমূলক কাজেও জড়িত রয়েছেন। তার এসব কাজের প্রতিফলন ঘটেছে নান্দাইলের শেরপুর গ্রামে। তিনি শেরপুর পশ্চিমপাড়া বাইতুল শরীফ জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। নিজের বাড়িতে বাবা-মায়ের নামে একটি মক্তব প্রতিষ্ঠাসহ গ্রামের আরো উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে জড়িত রেখেছেন তিনি। আমরা তার জীবনের সর্বাঙ্গীণ উন্নতি কামনা করি।

Powered by