প্রতিনিধি ২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৭:১০:০১ প্রিন্ট সংস্করণ
পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় আটকে আছে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম উদ্বোধন। নতুন ভবন উদ্বোধন না হওয়ায় একদিকে পুরাতন জরাজীর্ণ ভবনে বসে কাজ করতে গিয়ে নানা সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অপরদিকে একেক অফিস একেক স্থানে হওয়ায় অফিস খুঁজে পেতে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ জণগনকে।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে একই ছাদের নিচে জনসাধারণের সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করতে চন্দনাইশে নতুন প্রশাসনিক ভবন ও হলরুম নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। নান্দনিক নকশায় অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সংবলিত চার তলাবিশিষ্ট সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবনটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় সাত কোটি ৫১ লাখ ৩৬ হাজার ৭৯৩ টাকা। কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় চট্টগ্রামের আরএন ইয়াকুব এন্ড ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের পর চলতি বছর জুন মাসে মুল ভবনের কাজ শেষ হয়েছে। মুল ভবনের নির্মাণ কাজ সমাপ্তির পর ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও পানি এবং বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় আটকে আছে নতুন ভবন উদ্বোধন। এদিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন না হলেও জরাজীর্ণ ভবনে কার্যক্রম চালাতে অসুবিধা হওয়ায় সমবায় দপ্তরের কার্যালয়টি নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর চন্দনাইশ জোনাল অফিসের ডিজিএম মোঃ আবু সুফিয়ান বলেন, “বিদ্যমান ২৫ কিলোওয়াট থেকে ৫৫ কিলোওয়াট লোড বৃদ্ধি করে উপজেলা সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবনে ৮০ কিলোওয়াট লোডে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য উপজেলা প্রশাসন আবেদন করলেও ডিমান্ড নোটের টাকা জমা দেয়নি। তারা টাকা জমা দিলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।”
উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ জুনাইদ আবছার চৌধুরী বলেন, “মুল ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ড্রয়িং এবং ইস্টিমেটে ব্যয় বেড়েছে, তাই বাজেট না থাকায় বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য ডিমান্ড নোটের টাকা জমা দিতে পারছি না। তাছাড়া ভু-গর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে হওয়ায় এখানে অধিক শক্তিসম্পন্ন সাবমারসিবল পাম্প স্থাপন করতে হবে। ভেরিয়েশন ইস্টিমেট অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সেটি অনুমোদন হয়ে আসলে আশা করছি শীঘ্রই নতুন ভবনটি উদ্বোধন করা যাবে।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদের প্রশাসক মো. রাজিব হোসেন বলেন, “উপজেলা সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবনটির মুল কাজ শেষ হয়েছে। পানি সরবরাহ ও বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ বাকি রয়েছে, সেগুলো সহসাই সম্পন্ন করা হবে। খুব দ্রুত এই ভবনটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করা হবে।”