রংপুর

এইচএসসিতে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ৭৭.৫৬ শতাংশ

  প্রতিনিধি ১৫ অক্টোবর ২০২৪ , ৭:১৮:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

এইচএসসিতে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার৭৭.৫৬ শতাংশ

দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার কমলেও জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের সংখ্যা বেড়েছে। এবার পাশের হার ৭৭ দশমিক ৫৬। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১৪ হাজার ২৯৫ জন। ছেলেদের চেয়ে ভালো ফলাফল করেছে মেয়েরা। মেয়েদের পাশের হার ৮১ দশমিক ০১ এবং ছেলেদের পাশের হার ৭৩ দশমিক ৯৭।

পাশাপাশি মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ হাজার ১১০ জন এবং ছেলে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ হাজার ১৮৫ জন। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রংপুর বিভাগের ৮টি জেলা থেকে মোট ৬৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবারের এইচ.এস.সি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১ লাখ ১৩ হাজার ৭৯৯ জন।

দিনাজপুরের হলি ল্যান্ড কলেজে ৩৫৭ জন পরীক্ষার্থী সকলেই শতভাগ পাশ করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬৯ জন। গত বছরের চেয়ে এবার ১০০ জন বেশী পরীক্ষার্থী জিপি এ -৫ পেয়েছে। এছাড়াও দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডে ২০ টি কলেজ থেকে কেউ পাশ করেনি । আর শতভাগ পাশ করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সংখ্যা ১৫ টি।

এবার ভিন্ন আঙ্গিকে এইচএসসি ফলাফল প্রকাশ করা হলো। সরাসরি বোর্ড চেয়ারম্যান ফলাফল ঘোষনা করেছেন। পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারনে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারন করা হয়েছে। সকাল ১১টায় দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের কনফারেন্স রুমে চেয়ারম্যান প্রফেসর স,ম আব্দুস সামাদ আজাদ ফলাফল ঘোষনা করেন। এসময় বোর্ডেও কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।

অন্যান্য বোর্ডের চেয়ে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল খারাপ হয়েছে এই প্রশ্নের জবাবে বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর স,ম আব্দুস সামাদ আজাদ বলেন, এবার ফলাফল সন্তোষজনক তবে চলাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কাজ কর্ম করে লেখাপড়া করতে হয় এ কারণে আর্থসামাজিক কিছুটা প্রভাব পড়েছে।

দিনাজপুর হলিল্যান্ড কলেজে শতভাগ পাশের পিছনে সাফল্যের বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মমিনুর রাব্বি বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতির পাশাপাশি টেবিলে বসিয়ে না রেখে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াটা আদায় করিয়ে নেই। তাই এই সন্তোষজনক ফলাফল।

অভিভাবক ও কলেজের পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, আমাদের এ কলেজে আমরা শুধু শিক্ষক নই, আমরা অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করছি বলেই শতভাগ পাসের এই ফলাফল।

ফলাফল ঘোষণার পর পরই হলি ল্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আনন্দ উল্লাস করে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কেউ বলছেন চিকিৎসক হবেন আবার কেউ বলছেন শিক্ষকতা। একে অপরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে আনন্দ উল্লাস করেন।

আরও খবর

Sponsered content