ময়মনসিংহ

কেন্দুয়ায় নন্দিত কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের সড়ক বেহাল দশা

  প্রতিনিধি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৭:২৩:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মজিবুর রহমান, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় বাংলা সাহিত্যের বরপুত্র নন্দিত কথা সাহিত্যিক ড.হুমায়ুন আহমেদ নামে নামাকরণ করা জেংনা-বঙ্গবাজার সড়কটি বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। যানবাহন চলাতো দুরের কথা এখন পায়ে হাটাও জনসাধারণের জন্যে মুসকিল হয়ে পড়েছে। জানা যায়, নন্দিত কথা সাহিত্যিক ড. হুমায়ুন আহমেদ নামে নামাকরণ করা জেংনা-বঙ্গবাজার সড়কটি দৈর্ঘ্য প্রায় ৫ কিলোমিটার। এক সময় রোয়াইলবাড়ি আমতলা ইউপি’র ৭/৮টি গ্রামের মানুষ জেলা ও উপজেলা সদরের সাথে খুব সহজ যোগাযোগ মাধ্যম ছিল সড়কটি। বর্তমানে রাস্তাটি পুকুর গর্ভে বিলিন হওয়ার উপক্রম, ভেঙ্গে গেছে কয়েকটি কালভার্ট, পাকা অংশ সড়কের কাপের্টিং ও পিচ উঠে গিয়ে শতশত গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক স্থানে সিলকোট উঠে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য খানাখন্দ। বেতাই নদীর ওপর ব্রীজের মেয়াদ অনেক আগেই শেষ হয়েছে, অথচ ঝুঁকি নিয়ে মানুষ যানবাহনসহ চলাচল করছে। যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে ওই ব্রীজে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। এছাড়া কাঁদামাটির সয়লাব তো রয়েছেই। ২০০৮ সালে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ওই সড়কের এক কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ করেন। পরের বার সরকার ক্ষমতায় এসে আরো দেড় কিলোমিটার সড়ক হেরিংবোনবন্ড (এইচবিবি) উন্নয়ন করা হয়। এসব কাজ ঠিকমত হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে। রাস্তায় ইট গাতুনির পর পরিমানমত বালু ব্যবহার না করায় ইটগুলো উঠে যাচ্ছে। তৃতীয় বার সরকার ক্ষমতায় এসে গত অর্থবছরে আরো এক কিলোমিটার সড়ক হেরিংবোনবন্ড (এইচবিবি) উন্নয়ন করা হয়। এ কাজেও শেষ হতে না হতেই রাস্তা ধসে পড়ার অভিযোগ উঠে। হেরিংবোনবন্ড (এইচবিবি) উন্নয়ন করা অংশে বেশ কয়েকটি কালভার্ট দীর্ঘদিন ধরে ভেঙ্গে পড়ে আছে। এসব বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাছে বাংবার বলেও কোন সুফল পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। বাকি প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কে কাঁদামাটিতে সয়লাব। এই অংশে যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হাটাও মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীদের। বিশেষ করে নন্দিত কথা সাহিত্যিক ড. হুমায়ুন আহমেদ স্বপ্নের বিদ্যাপীঠ ‘শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে’ দেশের দুর-দুরান্ত থেকে পর্যটক ও দর্শানার্থী এই পথে এসে পড়েন দুর্ভোগে। কারণ উপজেলা সদর থেকে ‘শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে’ যাওয়ার সবচেয়ে কাছের ও সহজ পথ এই সড়ক। এই সড়কটি বেহাল দশা থাকায় অনেক পথ ঘুরে যেতে হয় উপজেলা প্রশাসন, পর্যটক, দর্শানার্থী, শিক্ষার্থী ও পথচারীদের। শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠে প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, স্যারের স্বপ্নে শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠটি এক নজর দেখতে বহু পর্যটক, দর্শানার্থী আগমন ঘটে। রাস্তার দুর্ভোগের শিকার হওয়ার অনেক তিক্ততা কথা তারা আমাদের জানায়। আমাদের শিক্ষার্থীরাও খুব কষ্ট করে এই পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করেন। সড়কটি পাকাকরণ করা হলে যেমন এলাকার জীবনমান উন্নয়ন হবে, তেমনি প্রশাসনিক কাজের গতি বাড়বে। বিদ্যাপীঠের পর্যটক, দর্শানার্থীসহ এলাকার সর্বস্তরের মানুষের দুর্ভোগ লাগব হবে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে রাস্তাটি পাকাকরণের জোর দাবী জানান তিনি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by