সাদ্দাম হোসেন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো: ফরিদুল হক খান দুলাল (এমপি) মহোদয়ের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রবিবার সকাল ১০ ঘটিকায় জেলা পরিষদ ডাক বাংলো ইসলামপুরে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি মোঃ জাফর আলী, সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল হাই, সাধারণ সম্পাদক মামুন-অর-রশিদ সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ ইসলামপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মো: তারেক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো: জাহিদুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: উসমান গনি, অর্থ সম্পাদক মো: আব্দুল্লাহ সরকার, প্রচার সম্পাদক মো: জরিপ উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মোছা: রাশিদা আক্তার, নির্বাহী সদস্য মো: শাহীন আলম।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মো: ফরিদুল হক খান দুলাল (এমপি) মহোদয়কে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি মো: জাফর আলী বলেন, আমরা তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারীরা বেতন বৈষম্য ছাড়াও নানাভাবে নির্যাতিত। এ থেকে উত্তোরণের জন্য হস্তক্ষেপ কামনা করছি। পরে ৫ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী পরিষদ তাদের ৫ দফা দাবী আদায় করার লক্ষ্যে আন্দোলন করে যাচ্ছে। তাদের দাবী সমূহ হলো:
১। ৩য় শ্রেণির কর্মচারীদের নূন্যতম বেতন গ্রেড ১১তম প্রদান করতে হবে এবং শিক্ষার্থী সংখ্যার অনুপাতে 3য় শ্রেণি কর্মচারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
২। পদের নাম পরিবর্তন করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা / অফিস সুপার প্রদান করতে হবে এবং পেশাগত উন্নয়নে কম্পিউটার সহ অন্যান্য বিষয়ে উচ্চতর ট্রেনিং এর দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩। শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের প্রণিত চাকুরী বিধিমালা-২০১২ দ্রুত বাস্তবায়ন ও প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি/গভর্নিং বডিতে কর্মচারীদের একজন সদস্য রাখার ব্যবস্থ্যা করতে হবে।
৪। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে দ্রুত উচ্চতর পদে পদোন্নতির ব্যবস্থা করতে হবে।
৫। সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণ করতে হবে।
পরে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী তাদের আশ্বস্ত করে বলেন, আমি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপরের মহলের সাথে আলোচনা করবো এবং আপনাদের নায্য দাবীগুলো যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথেও আলোচনা করবো।
