চট্টগ্রাম

কোন ধরনের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে পাহাড়ে ছাড় দেওয়া হবে না – স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  প্রতিনিধি ৭ মে ২০২৩ , ৫:৪৭:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ শহীদুল ইসলাম,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :

কোন ধরনের সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে পাহাড়ে ছাড় দেওয়া হবে না বলে কঠোর হুশিয়ার উচ্চারণ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি।
তিনি বলেন,পার্বত্য চট্টগ্রামের সীমান্ত সুরক্ষিত করতে বিজিবিকে অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত করে আরো শক্তিশালী করা হয়েছে। কোন সন্ত্রাসী দল যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায় সরকার সব ধরনের উদ্যোগ নিবে।

রবিবার (৭ মে) সকালে সাতকানিয়ার বাইতুল ইজ্জত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির ট্রেনিং সেন্টারে ৯৯ তম রিক্রুট ব্যাচের সমাপনী কুচকাওয়াজ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া এই বাহিনী তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী দিকনির্দেশনায় আজ একটি সুসংগঠিত, চৌকস, সুশৃঙ্খল ও পেশাদার বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বিজিবি ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ হিসেবে বাংলাদেশের ৪,৪২৭ কি.মি. দীর্ঘ সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্ত ভূমি ও সম্পদের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি সীমান্তে চোরাচালান ও মাদক পাচাররোধ, নারী ও শিশু পাচারসহ যেকোনো আন্ত:সীমান্ত অপরাধ দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় অত্যন্ত দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালন করে সকলের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিবি এখন জল, স্থল ও আকাশপথে দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম। স্মার্ট বর্ডার ম্যানেজমেন্ট এর অংশ হিসেবে অত্যাধুনিক ইকুইপমেন্ট স্থাপন, অত্যাধুনিক যুগোপযোগী সহ দ্রুতগামী জলযান সংযোজন করা হয়েছে। এছাড়াও বিজিবি’র প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ডের কলেবর বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আধুনিক প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্বলিত ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিজিবিকে একটি অত্যাধুনিক ও আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিজিবি’র সাংগঠনিক কাঠামোতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে বিজিবিকে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনীতে উন্নীত করা হয়েছে।
এর আগে নবীন সৈনিকদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সশস্ত্র সালাম প্রদানের মধ্য দিয়ে নবীন সৈনিকদের শপথ গ্রহণ ও প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়। পরে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী বিজিবি’র বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত ৮১৭ জন অকুতোভয় বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।সর্বশেষে ৯৯ তম রিক্রুট ব্যাচে ৩৭ জন নারী সৈনিকসহ মোট ৫৩৯ জন সৈনিক শপথ নেন।

অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ডেন্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মশিউর রহমান সহ সেনাবাহিনী ও বিজিবির উর্ধতন  কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content