কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিন বুধবার ঢাকার সড়কে যানবাহনের সংখ্যা অনেকে বেড়েছে। এদিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেকপোস্টগুলোয়ও শিথিলতা দেখা গেছে।
ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সব সড়কেই প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ি চলছে। রিকশাও রয়েছে সড়কে। পণ্যবাহী গাড়ি খুব একটা না চললেও জরুরি সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাড়িগুলো সড়কে রয়েছে।
লকডাউনের মধ্যে এর আগে পুলিশের চেকপোস্টে যানবাহনগুলোকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেলেও বুধবার বনানী, তেজগাঁওসহ কয়েকটি চেকপোস্টে পুলিশের ঢিলেঢালাভাব দেখা গেছে। এসব চেকপোস্টে ব্যারিকেড রাখা হলেও সেখানে কয়েকজন করে পুলিশ সদস্যকে অলস সময় পার করতে দেখা যায়।
বনানী চেকপোস্টে একজন পুলিশ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এখানে সকালে ঘণ্টাখানেক যানবাহন থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অফিস শুরুর ভিড় শেষে আর কোনো গাড়ি থামাচ্ছি না। সবাই জরুরি কাজেই বের হচ্ছেন। তবে যাঁরা কোনো কারণ ছাড়াই বের হচ্ছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা গেলে মামলা দেওয়া হচ্ছে।’
রাজধানীর অন্য চেকপোস্টগুলোতে ঢিলেমি থাকলেও গাবতলী হয়ে ঢাকামুখী যানবাহনগুলোকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হেঁটে গাবতলী ব্রিজ পার হয়ে যাঁরা ঢাকায় ঢুকছেন, তাঁদের অনেকেই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে পড়েছেন। গাবতলী দিয়ে যাঁরা ঢাকা ছাড়ছেন চেকপোস্ট বসিয়ে তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় ১ থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর লকডাউন কার্যকর করে সরকার। এরপর ঈদের আগে আট দিনের জন্য সব ধরনের বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। ২৩ জুলাই থেকে ফের শুরু হয়েছে ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন।