প্রতিনিধি ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৪:৩৭:৫৯ প্রিন্ট সংস্করণ
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিস এবং কেন্দ্রে অবস্থিত নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর হামলায় আরও ৫০ জন নিহত হয়েছেন। আগের দিন সোমবার উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে দু’টি স্কুলে বোমা বর্ষণ করেছিল ইসরায়েল, সেই অভিযানেও নিহতের সংখ্যা ছিল ৫০ জন।
এক প্রতিবেদনে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা নিউজ জানিয়েছে, মঙ্গলবারের হামলায় নিহতদের মধ্যে ৪০ জন খান ইউনিস শহরের এবং ১০ জন নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সোমবার স্কুলে বোমা বর্ষণের পাশাপাশি গাজার উত্তরাঞ্চলীয় শরণার্থী কেন্দ্র জাবালিয়া ক্যাম্পেও বোমা ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। এতে অন্তত ১০৮ জন নিহত এবং কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আহত হন। আহতদের শিবিরের নিকটবর্তী কামাল আদওয়ান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জ্বালানির অভাবে গত বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালটিতে বিদ্যুৎ নেই। উপরন্তু ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর অব্যাহত বোমা ও ড্রোন হামলায় ঘরবাড়ি হারিয়ে হাসপাতালটির চত্বরে আশ্রয় নিয়েছেন ৭ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এর আগে হামাসের গুপ্ত আস্তানা সন্দেহে গাজা উপত্যকার বৃহত্তম হাসপাতাল আল-শিফা এবং ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েলি স্থল বাহিনী। কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, একই অভিযান এই হাসপাতালেও হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।
গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনী।
ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।
অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।
ইসরায়েলি বাহিনীর গত দুই মাসের অভিযানে হামাসের ২০ জনেরও বেশি কমান্ডার নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে বিভিন্ন সূত্রে।
সূত্র: ওয়াফা নিউজ, আনাদোলু এজেন্সি