ঢাকা

গোপালগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় “পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৩” পালন

  প্রতিনিধি ১ মার্চ ২০২৩ , ৭:২২:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

কে এম সাইফুর রহমান, গোপালগঞ্জঃ

সারা দেশের ন্যায় গোপালগঞ্জেও যথাযোগ্য মর্যাদায় “পুলিশ মেমোরিয়াল ডে-২০২৩” পালিত হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারসহ দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিধান করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ সদস্যগণ অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে থাকে। যে কোন জাতীয় দুর্যোগে বাহিনীর সদস্যগণের ধৈর্য্য, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ কার্যক্রম সকল মহলে প্রশংসিত। কর্তব্য পালন করতে গিয়ে প্রতি বছর অনেক পুলিশ সদস্য নিহত হন। দায়িত্ব পালনকালে তাঁরা আত্মত্যাগের যে মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তা গোটা পুলিশ বাহিনীকে গৌরবান্বিত করে। কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত বাংলাদেশ পুলিশের সে সকল সদস্যদের আত্মত্যাগ ও গৌরবময় অবদানকে স্মরণ করে প্রতিবছর দেশব্যাপী সমস্ত পুলিশ ইউনিটে ১ মার্চ “পুলিশ মেমোরিয়াল ডে” পালিত হয়।

বুধবার (১ মার্চ) বেলা ১১ টায় গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত সম্মাননা প্রদান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, বিপিএম, পিপিএম। সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. খায়রুল আলম।

এর আগে সকাল ১০টায় পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, বিপিএম, পিপিএম -এর নেতৃত্বে জেলা পুলিশে কর্মরত সকল পুলিশ সদস্য, সিআইডি, পিবিআই, হাইওয়ে, টুরিস্ট পুলিশ ও এপিবিএন এর প্রতিনিধিসহ কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী পুলিশ সদস্যদের পরিবারবর্গ পুলিশ লাইন্সে নির্মিত অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এরপর দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালনের মাধ্যমে জেলা পুলিশ লাইন্সের ড্রিলশেডে সহকারী পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাখাওয়াত হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (মুকসুদপুর সার্কেল) মো. কামরুজ্জামান, শহীদ পুলিশ সদস্যদের পরিবারের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন, তানজিলা আক্তার নিপা (আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্য এসএম মো. মুকুল মিয়ার কন্যা), শমসের মুবিন খান (আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্য মো. আবুল খায়েরের ছেলে), শামীমা রহমান (আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্য এম এম সেলিম হোসেনের স্ত্রী) ও নাসরিম খানম (আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্য আলী হায়দার শরীফের স্ত্রী)।

এ সময় ড্রিলশেডে এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাবাকে সুপার হিরো আখ্যায়িত করে নিজেও সুপার হিরোদের (পুলিশ সদস্য) পরিবারভুক্ত হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তানজিলা আক্তার ও শমসের মুবিন খান। তারা জেলা পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশকে ধন্যবাদ জানান এমন আয়োজনের জন্য।

পুলিশ সুপার মহোদয় আত্মোৎসর্গকারী পুলিশ সদস্য পরিবারের প্রতি অশেষ কৃজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। যে কোন প্রয়োজনে জেলা পুলিশের সহযোগিতা গ্রহণ করার অনুরোধ জানান। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারকে একটি সম্মাননা স্মারক তুলে দেন পুলিশ সুপার। উক্ত অনুষ্ঠানে সকল অফিসার ইন চার্জসহ অন্যান্য অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’ প্রতি বছর ১লা মার্চ পালন করা হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by