ঢাকা

গোবিপ্রবিতে ‘ক্যান্সার শিক্ষা ও সচেতনতা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

  প্রতিনিধি ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৬:১০:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

গোবিপ্রবিতে ‘ক্যান্সার শিক্ষা ও সচেতনতা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশে নারীদের ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং সামাজিক কুসংস্কার ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার লক্ষ্যে গোগালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বাংলাদেশে ক্যান্সার শিক্ষা ও সচেতনতা’ বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ইউনেস্কোর অর্থায়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের পরিচালনায় বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় একাডেমিক ভবনের ১১৩ নম্বর কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এ সেমিনার আয়োজন করে।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, এই সেমিনারে শিক্ষা এবং সচেতনতাÑ দুটো বিষয় আছে। এর মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা জানতে পারবে ক্যান্সার কেনো হয় এবং কীভাবে তা প্রতিরোধ করা যায়। কারণ ক্যান্সারের চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। যা একটি পরিবারকে নিঃস করে দেয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসাও সম্ভব হয় না। যদিও আজকের দিনে আগেই জানা সম্ভব, কারও ক্যান্সার হবে কি না। এবং সে অনুযায়ী পরামর্শ মেনে চলতে ক্যান্সার এড়ানো যায়। কাজেই আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে, কীভাবে সুস্থ জীবন যাপন করা যায়। শিক্ষার্থীরা আলোকিত মানুষ হয়ে সমাজে আলো ছড়াবে। তাদের সেই পথে আজকের সেমিনার নতুন কিছু যোগ করবে বলে আমার প্রত্যাশা। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান বলেন, আজকের সেমিনার নিঃসন্দেহে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঁচতে হলে জানতে হবে। চিন্তায়, মানসিকতায় বড় হতে হবে। কারণ প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। ক্যান্সারের চিকিৎসা একই সঙ্গে ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ। যা আমাদের মতো গরিব দেশে সম্ভব হয় না। তাই আমাদের ক্যান্সার বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সচেতনতাই ক্যান্সার প্রতিরোধ করার অন্যতম পথ। 

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, ক্যান্সার আজ অতি পরিচিত একটি শব্দ। এটি মরণব্যাধী হলেও নিরাময়যোগ্য। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে যথাযথ চিকিৎসা শুরু করতে হয়। অথচ কেবল সচেতনতার অভাবে অনেক ক্ষেত্রে নিরাময় সম্ভব হয় না। তার ওপর ক্যান্সার নিয়ে সমাজে কিছু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। তাই কঠিন এই রোগ থেকে আমাদের পরিবার ও সমাজকে রক্ষা করতে হলে সমাজের প্রতিটি স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন, সহযোগী অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুবুর রশিদ ও প্রভাষক মিসেস কানিজ ফাতেমা। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

আরও খবর

Sponsered content