প্রতিনিধি ৮ জানুয়ারি ২০২৪ , ৬:৪১:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ
বন্দর পতেঙ্গা আসনে এম এ লতিফের চতুর্থবার এমপি হওয়া ঠেকাতে আদাজল খেয়ে ওঠেপড়ে লেগেছিলো মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ তিন নেতা। তারা এ আসনে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে এম এ লতিফের বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল হক সুমনের পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ফলে নৌকা পেয়েও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় এম এ লতিফকে। কিন্তু অত্যন্ত ধীরস্থিরভাবেই সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে ২৭জনকে ডিঙিয়ে নৌকা নিজের করে নেয়ার মতো করেই শেষ হাসি হাসলেন এ নেতা।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ওয়ার্ড কাউন্সিলরের জনপ্রিয়তা বা শক্তি সামর্থ্য নয়, মহানগরের সিনিয়র তিন নেতার অবস্থান এবং নির্দেশনা উপেক্ষা করে নৌকার জন্য কাজ করে বিরাগভাজন হতে চাননি থানা ও ওয়ার্ডের নেতারা। ফলে ওই কাউন্সিলরই তার জন্য শক্ত প্রার্থী হিসেবে আভির্ভূত হন। এমন পরিস্থিতিতে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় ধীরস্থিরভাবে মোকাবেলা করে তিনি হাসেন শেষ হাসি। সবকিছু ঠান্ডা মাথায় হ্যান্ডেল করতে পারাকেই তার ট্রেডমার্ক বলছেন তার স্বজনরা।
চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে টানা চতুর্থবার জয়লাভ করে তিনি তার অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছে গেছেন। তিনি পেয়েছেন ৫১ হাজার ৪৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জিয়াউল হক সুমন পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৫২৫ ভোট।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ তোফায়েল ইসলাম।
জয় শেষে এমপি লতিফ বলেন, এ কৃতিত্ব আমার নয়। এটা নেত্রীর আস্থা বিশ্বাসের প্রতিদান দিয়েছেন ভোটাররা। যার ওপর জনগণ রাজি, তার ওপর আল্লাহ রাজি। আমি জনগণের সেবক হিসেবে আছি, তারাই সঠিক মূল্যায়ন করেছেন। জনগণ না চাইলে কেউ বিরোধীতা না করলেও জয়লাভ সম্ভব নয়।