দেশজুড়ে

জার্মানীর স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “WE” এর উদ্যোগে রাউজানে ঈদসামগ্রী বিতরণ

  প্রতিনিধি ২৪ মে ২০২০ , ৩:১১:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : কভিড-১৯ ভাইরাসের ভয়াবহতা দেখছে বিশ্ব। জাতিসংঘ মনে করছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে বিশ্ব। এই কভিড-১৯-এর থাবা পড়েছে আমাদের প্রিয় দেশের ওপরেও। সমাজের নিম্ন আয়ের ও অবহেলিত মানুষ পড়ছে খাদ্য সংকটে। এই সংকটাপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে অবস্থাসম্পন্ন প্রায় সবাই।

তারুণ্য মানে না কোনো বাধা-নিষেধ। তারুণ্যের উদ্যমতা সাগর পাড়ি দেওয়ার মতো দুঃসাহস যেমন রাখে, ঠিক তেমনি এ বয়সে হিমালয় পর্বত জয় করার মতো দুঃসাহস রাখে। জল, স্থল, আকাশ, মহাকাশ, পর্বত- কোথায় নেই তারুণ্যের ছাপ! যেখানেই চোখ পড়বে সেখানেই তারুণ্যের জয়গান। এখানে নেই কোনো সাংসারিক জটিলতা, নেই কোনো ভাবনার অবকাশ। আর সেই তরুণরাই করোনা মহামারির এই মানবিক সংকটের সময়ে মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

তরুণদের কাঁধে ভর দিয়ে এগোচ্ছে মানবতা। এমন একটি একটি সংগঠন” WE “.জার্মানির বসবাসকারী তরুন,যুবক ছাতদের সংগঠন। এ সংগঠনের অন্যতম প্রতিনিধি চট্টগ্রাম এর কৃতি সন্তান রবিউল এইচ চৌধুরীর উদ্যোগে সোশ্যাল সার্ভিসেস ইউনিয়ন অব রাউজান এর আহবায়ক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ইমন এর সহযোগিতায় রাউজানে অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ সামগ্রী প্রদান করা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ করে আসছে। দুর্যোগে বিভিন্ন স্থানে ত্রাণ দেওয়াসহ সুবিধাবঞ্চিত মানুষের ৫টি মৌলিক চাহিদা খাদ্য, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থান নিয়ে কাজ করে।'

করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশ যখন লকডাউন অবস্থায় আছে তখন নিম্ন আয়ের মানুষেরা সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। দিনমজুর, রিকশাচালক, চা বিক্রেতা এবং উল্লেখযোগ্য আরও অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ খাদ্য সংকটে পড়েছে। প্রতিষ্ঠানটির মূল উদ্দেশ্যই অসহায় দরিদ্র মানুষের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা। বর্তমান করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত মহামারি রোগের কারণে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, সেটির দৃষ্টিকোণ থেকে সংগঠনের সব সদস্যের সাধ্যানুযায়ী চাল, ডাল, আলু, লবণ এবং সাবান দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে অসহায় দিনমজুরদের সামান্যতম সাহায্য করার।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by