রাজশাহী

তাড়াশ-রায়গঞ্জের খাদ্যগুদামে ১টন আমন ধানও সংগ্রহ হয়নি

  প্রতিনিধি ২ জানুয়ারি ২০২১ , ৪:৩২:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ

তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি :

চলতিস বছর রোপা আমন মৌসুমে সরকারিভাবে সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে অভ্যন্তরীণ আমন ধান সংগ্রহের ১মাস পেরিয়ে গেলেও ১ টন ধান সংগ্রহ করতে পারেনি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ ও রায়গঞ্জ উপজেলার খাদ্যগুদাম কর্তৃপক্ষ। সরকারি দেওয়া মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি হওয়ায় খাদ্যগুদামে ধান দিতে আগ্রহী নন কৃষকরা।

এতে ধান সংগ্রহ অভিযান ব্যাহত হওয়ার আশংকা তৈরি হয়েছে। তাড়াশ উপজেলার তালম গ্রামের কৃষক মোবারক হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে বার বার ও দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে ধানের উৎপাদন একেবারেই কম হয়ছে।

তবে ধানের উৎপাদন কম হলেও ধানের ভালো দাম পাওয়ায় সেই ঘাটতি কিছুটা কমে আসছে। বর্তমানে বাজারে স্বর্ণা-৫, গুটি স্বর্ণা, আব্দুল গুটি, ৪৯, ৫১, ৭১, ৭২, ৭৫, ৮২, ৮৫, বিনা-১৭, কাটারী ভোগ প্রকার ভেদে প্রতি মণ ধান ১ হাজার ৫০ থেকে ১৪শ ৫০টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

এতে করে ধানের উৎপাদন খরচ মিটিয়ে আমাদের কিছু লাভ হচ্ছে। তবে বন্যায় ক্ষতি না হলে ধানের উৎপাদন আরও বেশি হতো ফলে আমরা কৃষকরা আরও লাভবান হতাম।

গতবছর সরকারি মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের দাম কম ছিল ফলে কৃষক খাদ্যগুদামে ধান দিতে পেরেছিল। চলতি বছর একই মূল্য নির্ধারণ করেছেন। তবে এবছর খোলা বাজারে ধানের দাম বেশি ফলে খাদ্যগুদামে ধান দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছেনা কৃষকের।

রায়গঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিন বলেন, চলতিবছর এ উপজেলায় ১হাজার ২শ ১৪ মেট্রিকটন আমন ধান ক্রয়ের বরাদ্দ ছিল। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের মূল্য বেশী হওয়ায় আজ পর্যন্ত কোন কৃষক খাদ্যগুদামে ধান দিতে আসেনি এমনকি হাটে হাটে ঘুরে ১মণ ধানও আমরা ক্রয় করতে পারিনি। তবে ধান সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

তাড়াশ উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: কাওছার রহমান বলেন, তাড়াশ উপজেলায় ৭শ ৪০ মেট্রিকটন আমন ধান ক্রয়ের বরাদ্দ ছিল। কোনও ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। মূলত সরকারীভাবে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে খোলা বাজারে ধানের মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা কেউ খাদ্যগুদামে ধান দিতে আগ্রহী নন।

তবে ধান সংগ্রহ করতে না পারলেও সরকারের সফলতা এসেছে। কারণ সরকারীভাবে ধানের মূল্য নির্ধারণ না করলে আড়ৎদাররা ইচ্ছেমতো ধান ক্রয় করতো ফলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো এবং ধানের মূল্যও এতো পেতো না।

উপজেলা কৃষি অফিসার লুৎফুন্নাহার লুনা বলেন, তাড়াশ উপজেলায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। বন্যার কারণে ২ হাজার হেক্টর জমির আবাদ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয়ে যায়। অবশিষ্ট ১১ হাজার হেক্টর জমির আবাদ মোটামুটি ভাল হয়েছে। সরকারিভাবে নির্ধারিত মূল্যের পাশাপাশি খোলা বাজারে ধানের মূল্য বেশি থাকায় কৃষক এবার লাভবান হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by