বরিশাল

দক্ষিণা লের ১১ জেলায় অপরাধ নির্মূলে র‌্যাব-৮’র অধিনায়ক আতিকা ইসলামের অনন্য নজির

  প্রতিনিধি ১ জুলাই ২০২০ , ৮:০৪:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মো. আবু সাঈদ মোলা, বরিশাল:র‌্যাব-৮ (র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান) এর অধিনায়ক অথবা কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব রয়েছেন পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম। দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই বরিশালের ৬ জেলা সহ দক্ষিণা লের ১১টি জেলাকে মাদক, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দস্যুতা নির্মূলের পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ভুমিকা রেখে আসছেন। বাংলাদেশ পুলিশের নারী সদস্যদের কর্মক্ষেত্রে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘বাংলাদেশ উইমেন পুলিশ অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ প্রদান করা হয়েছে। একজন নারী অফিসার হিসেবে ২০১৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক মর্যাদাপূর্ণ বিপিএম (সাহসিকতা) পুরষ্কারে ভূষিত হন। এছাড়া সুন্দরবনকে দস্যু মুক্ত করার জন্যও তিনি বিশেষ পুরষ্কার পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন সংলগ্ন নদীতে একাধিক জলদস্যু, ডাকাত বাহিনী বিপুলসংখ্যক নিরীহ মৎস্যজীবীকে অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়সহ হতাহতের ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। এ অবস্থায় সুন্দরবনে র‌্যাব-৮ এর ক্রমাগত অপারেশনে অস্ত্র,-গোলাবারুদসহ অসংখ্য জলদস্যু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়েছেন। উদ্ধার হয়েছে বিপুল সংখ্যক দেশি-বিদেশি অস্ত্র-গোলাবারুদ। চলমান এ সাফল্যের প্রধান কারিগর হলেন র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম। তার দায়িত্ব প্রাপ্ত সময়েই কিছু দিন আগে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সুন্দরবনকে জলদস্যু মুক্ত ঘোষণা করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলার ইতিহাসে অন্যতম মাইলফলক। এছাড়া অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম ‘সুন্দরবনের হাসি’ নামক প্রকল্পের মাধ্যমে আত্মসমর্পণকৃত জলদস্যু ও তাদের পরিবারের পুনর্বাসন ও সার্বিক উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন যা অত্যন্ত অনুকরণীয় এবং প্রশংসনীয় একটি দৃষ্টান্ত। এখন শান্তির সু-বাতাস বইছে সুন্দরবনে। র‌্যাব ৮ এর কার্যক্রম অত্র অ লের মানুষ এখন অধিকতর শান্তিতে। এ অ লের ১১ জেলার অপরাধ দমনের এই নেতৃত্বে রয়েছেন র‌্যাব-৮ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি আতিকা ইসলাম। তার নেতৃত্বে আইনশৃংখলা পরিস্থিতি ও শান্তিশৃংখলা বজায় রাখতে দক্ষিণা লে র‌্যাব-৮ এর অভিযান চলমান রয়েছে। “চল যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে”- এই স্লোগানের মাধ্যমে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে র‌্যাব। অভিযানের পাশাপাশি সকলকে মাদকের কুফল সম্পর্কে উদ্বুদ্ধ করার জন্য ‘মাদক বিরোধী ক্যাম্পেইন’ পরিচালনা করছে তারা। আর এর সুফল পাওয়া শুরু করেছে ১১ জেলার মানুষ। দেশে জঙ্গিগোষ্ঠী শক্তিশালী অবস্থায় না থাকলেও তারা যাতে ফের মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সে জন্য র‌্যাব-৮ কঠোর ভূমিকা রাখছে। এর অন্যতম দৃষ্টান্ত হিসেবে গত ৩১ আগস্ট নগরীর দরগাবাড়ি এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জেএমবি সদস্য আব্দুল­াহ আল মিরাজ ওরফে খালেদ সাইফুল­াহ ওরফে সাইফুলকে আটক করে র‌্যাবের একটি চৌকস দল। জঙ্গিদের তথ্য সংগ্রহ এবং এদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তৎপরতা শুরু করেছে র‌্যাব। সর্বোপরি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মাদক বিরোধী অভিযান, জলদস্যু গ্রেপ্তার এবং জঙ্গি দমনের কার্যক্রম আপোষহীনভাবে চালাচ্ছে এ সংস্থাটি- এমনটাই মনে করেন এতদা লের মানুষ। যার ফলশ্রুতিতে স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছে জনগণ।