রংপুর

দিনাজপুর থেকে অপহৃত কলেজ ছাত্রী ফরিদপুরে উদ্ধার

  প্রতিনিধি ১১ মে ২০২৪ , ৭:২৭:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

দিনাজপুর থেকে অপহৃত কলেজ ছাত্রী ফরিদপুরে উদ্ধার

দিনাজপুর থেকে অপহৃত কলেজ ছাত্রী ফরিদপুরে উদ্ধার ও অপহরণকারী রাশেদুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ। দিনাজপুরে কাহারোল উপজেলার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সাথে মিথ্যা প্রেম ও প্রতারণার ফাঁদে ফেলে অপহরণ করে মাগুরার দিনমজুর ছেলে রাশেদুল ইসলাম (২২)।

এ ঘটনায় মামলার পর দিনাজপুর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রযুক্তির সহযোগিতায় ফরিদপুর জেলা থেকে অপহৃতকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটক করেছে। শনিবার (১১ মে) দিনাজপুর জেলা পুলিশের তদন্তকারী একটি টিম অপহৃতকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটক করে। আটককৃত রাশেদুল ইসলাম মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলার চাকদহ এলাকার শাহিদুল ইসলামের ছেলে। সে পেশায় একজন দিনমজুর।

শনিবার দুপুরে দিনাজপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপ্স) মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঘটনার বিবরণে তিনি জানান, দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনে ভুল করে ডায়ালের মাধ্যমে রাশেদুল ইসলামের কথোপকথন হলে ভিকটিমকে বিভিন্ন মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। এই প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভিকটিম গেল ৩ মে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কেন্দ্রে অনার্স প্রথম বর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে কাহারোলের নিজ বাসা থেকে সকাল ৮টার দিকে বের হয়ে আসে। এরই মধ্যে অপহরণকারী পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে রেখে ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে পরীক্ষার সেন্টার থেকে বাসযোগে প্রথমে সাভার, ঢাকা, মাগুরা, ঝিনাইদহ পরবর্তীতে ফরিদপুর সদরে বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করে।

তিনি আরও জানান, জানতে পেরে ভিকটিমের বাবা কাহারোল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। এরপর পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ এর নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে দিনাজপুর সাইবার ইনভেস্টিগেশন সেলে এসআই বিশ্বজিৎ দাস, আল মামুনসহ মামলার তদন্তকারী অফিসার কাহারোল থানার এসআই মমিনুর রহমান অভিযান শুরু করে।

অভিযানের শুরুতে ভিকটিমের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীর মোবাইল নম্বর বের করা হয়। এরপর তাদের মোবাইল নম্বরের মাধ্যমে প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান নির্ণয় করে ভিকটিমকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে আটক করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

আরও খবর

Sponsered content