দেশজুড়ে

দুপচাঁচিয়া-তালোড়া সড়কে চরম ভোগান্তি : ঘটছে দুর্ঘটনা

  প্রতিনিধি ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৪:০১:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: ভোরের দর্পণ

এম ডি শিমুল, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া):

বগুড়ার দুপচাঁচিয়া-তালোড়া সড়কটির বেহাল দশা। মাত্র ছয় কিলোমিটারের গোটা সড়কটি খানাখন্দে ভরা। উপজেলার তালোড়ায় রেলস্টেশন, ধান-চালের ব্যবসা, অটো চালকল, চাতাল ও অ্যালুমিনিয়াম তৈজস তৈরির কল-কারখানা রয়েছে। ফলে এ সড়কটি যানবাহন চলাচলে সার্বক্ষণিক ব্যস্ত থাকে। কিন্তু সড়কটির কোনো সংস্কার না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনায় পড়ছে। এতে ব্যবসায়ীরা হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত আর যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তালোড়া থেকে দুপচাঁচিয়া ছয় কিলোমিটার সড়কটির বিভিন্ন স্থানে পিচ ও খোয়া ওঠে বড় বড় গর্ত হয়েছে। তালোড়া আলতাফ আলী উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে, ঘোড়াপট্টি, লাফাপাড়া, পলিপাড়া, পদ্মপুকুর, লালুকার সেতুর কাছে, মহাশ্মশানের সামনে সড়কটির বেহাল অবস্থা। কয়েক মাস আগে স্থানীয়ভাবে পৌরসভা ইট ও ব্যাটস (ইটের গুড়া) দিয়ে সড়কটি চলাচলের ব্যবস্থা করলেও বর্ষার শুরু থেকে গোটা সড়কের খানাখন্দে পানি দিয়ে আরও গর্ত হয়েছে। এছাড়াও ওই গর্তে ইজিবাইক চালক ও ট্রাক চালকরাও ইটের খোয়া দিলেও প্রচন্ড বর্ষায় তা ধোপে টিকেনি। ভারি যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে ধীরে ধীরে চলাচল করছে। এক সঙ্গে দুইটি যানবাহন পারাপার হতে পারছে না।

এ সড়কে প্রতিদিন ইজিবাইকে যাত্রী নিয়ে চলাচল করেন চালক মিলন হোসেন, মামুন হোসেন ও গোলাম। তাঁরা বলেন, যাত্রী নিয়ে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে বার বার ব্রেক কষে চলতে হয়। বর্ষার সময় ইজিবাইকের কন্ট্রোল বক্স ও চার্জার মোটর গর্তের পানিতে ডুবে গিয়ে তা মাঝেমধ্যেই পুড়ে নষ্ট হয়। সারাদিনের কামাইয়ের টাকা মেরামত করতে শেষ হয়ে যায়। শুধু এ ভোগান্তিই শেষ নয়, গত এক মাসে প্রায় ৪/৫টি ইজি বাইক ও বেশ কয়েকটি অটোভ্যান গর্তে পড়ে উল্টে গিয়ে চালকসহ যাত্রীরাও আহত হওয়ার ঘটনার ঘটেছে।

এ রাস্তার ট্রাকচালক ইউসুফ আলী ও চঞ্চল দাস জানান, ধান ও চাল বোঝাই করে দিনে-রাতে কয়েকবার এ রাস্তা দিয়ে তালোড়া থেকে বিভিন্ন মোকামে যেতে হয়। জীবন চালানোর তাগিদে আমাদের এ রাস্তাই ট্রাক চালাতে হয়। সারাক্ষণ ব্রেকে পা দিয়্যা ট্রাক চালাতে হয়। গর্তের পানিতে ট্রাক নেমে দিলে মাঝেমধ্যে আটকে যায়। দু’একদিন পর পরই ট্রাক গ্যারেজে দিতে হয়। আজ আট-দশ বছর ধরে ট্রাক চালাচ্ছি, এ রাস্তার কোনোদিন কাজ দেখিনি।

তালোড়া পৌরসভার মেয়র আমিরুল ইসলাম বলেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের রাস্তায় পৌরসভার কাজ করার বিধান নেই। তারপরও এলাকার স্বার্থে কয়েক মাস আগে সাময়িকভাবে চলাচলের জন্য রাস্তায় ইট ও ব্যাটস দেওয়া হয়েছিল। রাস্তাটি মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বগুড়ার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি বলেন, নন্দীগ্রামের ওমরপুর হতে তালোড়া-দুপচাঁচিয়া হয়ে আক্কেলপুর পর্যন্ত সড়কটির মেরামতের জন্য বরাদ্দ হয়েছে। ইতোমধ্যেই দরপত্র হয়েছে। বর্ষার সময় বিটুমিনের কাজ করা যাবে না। তাই জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে দ্রুত সাময়িক মেরামত করা হবে। শুষ্ক মৌসুম আসলে কাজ শুরু হবে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by