দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু সম্পর্কে যে তথ্য দিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

দর্পন ডেস্কঃ নভেল করোনা ভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায়  সর্বচ্চো আরো ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই হাজার ৫২ জনের মৃত্যু হলো। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১.২৬ শতাংশ।

আজ রবিবার  দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান,মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ২১জন পুরুষ এবং ৮ জন নারী। এই পর্যন্ত এক হাজার ৫৮৭ জন পুরুষ এবং ৪১০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন।

তিনি জানান মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ এবং ১৮ জন নারী।

বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, 
৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ১২ জন,
৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৯ জন,
৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৩ জন,
৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৭ জন
৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৩ জন।
০০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১ জন।

অঞ্চল বিবেচনায় এদের মধ্যে মারা গিয়েছে
ঢাকা বিভাগের ১৯ জন,
চট্টগ্রাম বিভাগের ১৩ জন, 
সিলেট বিভাগের ২ জন,
খুলনা বিভাগের ৬ জন।
বরিশাল বিভাগের ৫ জন,
ময়মনসিংহ  বিভাগের ১ জন,
রাজশাহী বিভাগের ১ জন।
এবং রংপুর বিভাগের ৮ জন।

তিনি আরো জানান, বয়স বিবেচনায় এই পর্যন্ত মোট মারা গিয়েছেন,

০ থেকে ১০ বছরের মধ্যে মোট ১৩ জন।
১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে মোট ২৪ জন।
২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে মোট ৭০ জন।
৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে মোট ১৫১ জন।
৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মোট ৫৩৯ জন।
৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে মোট ৫৯৩ জন।
এবং ষাটোর্ধ মারা গিয়েছে মোট ৮৯০ জন মার গেয়েছেন।

অঞ্চল বিবেচনায় এদের মধ্যে মোট মারা গিয়েছে,

ঢাকা বিভাগের মোট ১,০৬০ জন,
চট্টগ্রাম বিভাগের ৬৩৪ জন, 
সিলেট বিভাগের ৮৬ জন,
খুলনা বিভাগের ৮৮ জন।
বরিশাল বিভাগের ৭২ জন,
ময়মনসিংহ  বিভাগের ৪৯ জন,
রাজশাহী বিভাগের ১০২জন।
এবং রংপুর বিভাগের ৬১ জন।

বরাবরের মতোই করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সবাইকে সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মুখে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, বাইরে বেরোলে হ্যান্ড গ্লাভস পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানান ডা. নাসিমা সুলতানা।

দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা জানানো হয় এবং প্রথম মৃত্যু ঘটে গত ১৮ মার্চ।