চট্টগ্রাম

দোহাজারীতে কর্দমাক্ত ৭শ মিটার কাঁচা রাস্তায় জনদুর্ভোগ চরমে

  প্রতিনিধি ২৫ জুন ২০২৪ , ৩:৪৭:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

দোহাজারীতে কর্দমাক্ত ৭শ মিটার কাঁচা রাস্তায় জনদুর্ভোগ চরমে

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জামিজুরী এলাকায় বিজয় বাবুর বাড়ি থেকে মগদেশ্বরী মন্দির পর্যন্ত সৎসঙ্গ সড়কে ৪ শ মিটার এবং দুলাল দাশের বাড়ি থেকে স্বপন তেওয়ারির বাড়ি পর্যন্ত ৩শ মিটার রাস্তা অদ্যাবধি কাঁচাই রয়ে গেছে।

রাস্তা দুইটি কাঁচা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন ওই এলাকার সাধারণ মানুষ। বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই রাস্তা দুইটির কোন কোন স্থানে গর্ত হয়ে পানি জমে থাকে, আবার কোন কোন স্থানে হাঁটু সমান কাদা হয়ে যায়। কর্দমাক্ত এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে ওই এলাকার কৃষক, শিক্ষার্থীসহ দুই শতাধিক পরিবারের মানুষকে পায়ের জুতা খুলে ও হাটুর উপর কাপড় উঠিয়ে চলাচল করতে হয়। অনেক সময় কাদা-পানিতে পড়ে পোশাক ভিজিয়ে বাড়ি ফিরতে হয় শিক্ষার্থীদের। এতে বর্ষার সময়ে শিক্ষার্থীরা কাদা-পানির ভয়ে নিয়মিত স্কুলে যেতে চায় না।

এছাড়া বিভিন্ন স্থান থেকে সৎসঙ্গ মন্দিরে প্রার্থনা ও পূজা-অর্চনা করতে আসা লোকজনকেও ভীষণ বেকায়দায় পড়তে হয়। এলাকাটি দোহাজারী পৌরসভার অন্যান্য এলাকার চেয়ে অনুন্নত। বর্ষা মৌসুমে রিকশা-ভ্যান, মোটরসাইকেল-বাইসাইকেল চালানো, এমনকি পায়ে হেঁটে চলাচল করাও কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় সড়ক দুইটিতে। 

ওই এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা প্রদীপ কান্তি দাশ বলেন, এই দুইটি কাঁচা রাস্তার অসংখ্য জায়গায় ভেঙ্গে খানা খন্দক ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষা এলেই আমরা দুর্ভোগে পড়ি। আমাদের এই করুণ চিত্র কারো চোখে পড়ে না। পৌরসভার অন্য কোন ওয়ার্ডে এরকম কাঁচা রাস্তা আছে বলে আমার মনে হয়না। পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও এখনো পাকা রাস্তায় হাঁটার সৌভাগ্য হয়নি এই এলাকাবাসীর। দুর্ভোগ নিরসনে কাঁচা রাস্তা দুইটি দ্রুততম সময়ে পাকাকরণ করার জন্য পৌর মেয়রের সদয় সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এবিষয়ে পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর চিত্ত রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, “পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী মো. নাঈম উদ্দিন কাঁচা রাস্তা দুইটি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। রাস্তা দুইটি পাকাকরণ বিষয়ে আমি মেয়র মহোদয়কে বলেছি। তিনি আমাকে কথা দিয়েছেন দ্রুততম সময়ে এই দুইটি কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের উদ্যোগ নেবেন তিনি।”

পৌর মেয়র আলহাজ মোহাম্মদ লোকমান হাকিম বলেন, “৮ নম্বর ওয়ার্ডে পৌরসভার উদ্যোগে ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ এর আওতায় ১ কোটি ৮ লাখ ১১ হাজার ৯৮ টাকা ব্যয়ে জামিজুরী বটতল শান্তি মার্কেট থেকে মৈত্রী সংঘ দুর্গা মন্দির পর্যন্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রভাষ দাস গুপ্ত সড়কে ৬৭২ মিটার  এবং ৮৮ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭৭ টাকা ব্যয়ে জামিজুরী গালীমের মসজিদ থেকে জাগরণ ক্লাব পর্যন্ত ৯০৫  মিটার আরসিসি ঢালাই দ্বারা উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। প্রধান সড়কগুলোর উন্নয়ন কাজ শেষে শাখা সড়কগুলো ধাপে ধাপে উন্নয়নের আওতায় নিয়ে আসা হবে।”

আরও খবর

Sponsered content