চট্টগ্রাম

দোহাজারীতে মাঝ রাতে দরজায় কড়া নেড়ে শীতার্তদের কম্বল বিতরণ

  প্রতিনিধি ২৭ জানুয়ারি ২০২৫ , ৭:২৫:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

দোহাজারীতে মাঝ রাতে দরজায় কড়া নেড়ে শীতার্তদের কম্বল বিতরণ

শীত নিয়ে লোকমুখে প্রচলিত জনপ্রিয় উক্তিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হলো “পৌষের শীত মোষের গায়, মাঘের শীত বাঘ পালায়।” অর্থাৎ মাঘমাসের তীব্র শীতে বাঘ পর্যন্ত কাবু হয়ে যায়। মাঘ মাসের হাড় কাঁপানো কনকনে এই শীতের রাতে প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে নেই। গরম কাপড় জড়িয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন সামর্থ্যবানরা। কিন্তু চরম বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষ। শীতের তীব্রতায় কাঁপছে তারা। বিশেষ করে, বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুরা চরম বিপাকে পড়েছে। হাড় কাঁপানো শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে গরম ও উষ্ণ শীতবস্ত্রের জন্য হাহাকার করে এসব শীতার্তরা। এমতাবস্থায় এসব অসহায় মানুষের কাছে শীতবস্ত্র পৌঁছে দিতে মাঝরাতে ঘরে ঘরে গিয়ে দরজায় কড়া নেড়ে কম্বল বিতরণ করেছেন চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডিপ্লোমেসি চাকমা।

দুঃস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত কম্বল দোহাজারী পৌরসভার পক্ষ থেকে তিনি নিজ হাতে ছিন্নমূল অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করছেন।

গত রবিবার (২৬ জানুয়ারি) রাতে পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের ডাকবাংলো এলাকায় এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সুরত আলী মাষ্টার পাড়া এলাকায় বিভিন্ন কলোনিতে ভাড়া বাসায় অবস্থানরত দেড় শতাধিক হতদরিদ্র নারী-পুরুষদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন তিনি। এর আগে গত মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাতে দোহাজারী রেলওয়ে ষ্টেশন, সরকার পাড়া, ঈদ পুকুরিয়া, চাগাচর দাশ পাড়া ও দে পাড়া এলাকার শতাধিক নারী-পুরুষ ও শিশুদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন তিনি।

কম্বল বিতরণকালে তাঁর সাথে ছিলেন পৌরসভার হিসাব রক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, কনজারভেন্সি ইন্সপেক্টর জমির উদ্দিন, লাইসেন্স পরিদর্শক বিধান বড়ুয়া প্রমূখ।

প্রকৃত দুঃস্থদের হাতে কম্বল বিতরণ করতে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে পৌর প্রশাসক ডিপ্লোমেসি চাকমা বলেন, ডেকে এনে দিলে যার প্রয়োজন সেও হাত বাড়ায়, যার প্রয়োজন নেই সেও হাত বাড়ায়। কারো মাধ্যমে দিলে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ আসে অনেক সময়। তাছাড়া যারা প্রকৃত দুঃস্থ, যাদের কম্বল প্রয়োজন তাঁদের অনেকেই দিনের বেলায় মাঠে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকেন। রাতে সকলকে ঘরে পাওয়া যায়। তাছাড়া মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাঁদের বিভিন্ন সমস্যাগুলো শুনতে পাচ্ছি। সেগুলো সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগও নিতে পারছি। কেবল দায় এড়ানোর জন্য নয়, মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে অসহায় শীতার্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি। 

আরও খবর

Sponsered content