প্রতিনিধি ৫ জানুয়ারি ২০২৫ , ৭:৫৩:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ
দৌলতখান উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ০৫ নং ওয়ার্ড করমি উদ্দনি ফকির বাড়ীর নারগিছ বেগম (৩০) ও তার মেয়ে নাজমিন আক্তার (১৪) কে হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন নারগিছ বেগম এর দেবর মো. শাহীন ও তার স্ত্রী হাফছা বেগম।
০৩ (শুক্রবার) জানুয়ারি সকাল ১০ টার সময় মৃত ঈমাম উদ্দিন এর স্ত্রী নারগিছ বেগম ও তার মেয়ে নাজমিন আক্তার তাহাদের ঘরে অবস্থান করে এ সময় তার দেবর মো. শাহীন এর সাথে তাহাদের জমি জমা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে মো. শাহীন তার হাতে থাকা হাতুরী দিয়ে নারগিছ বেগম এর মাথায় আঘাত করে।
এতে তিনি জ্ঞান হাড়িয়ে পড়ে গেলে তার মেয়ে নাজমিন আক্তার তাকে বাঁচাতে আসে তখন শাহীন ও তার স্ত্রী তাকেও এলোপাতারী আঘাত করতে থাকে। এতে মা ও মেয়ে গুরুতর আহত হয়। এমতাবস্থায় তাহাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে মো. শাহীন ও তার স্ত্রী ঘটনা স্থল ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে দৌলতখান হাসপাতালে ভর্তি করে । তাদের অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় তাহাদের কে ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
তথ্য পেয়ে দৌলতখান থানার এসআই মো. দাউদ ইব্রাহিম দৌলতখান হাসপাতালে এসে আহতদের দেখে যান ও তিনি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্থ করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নারগিছ তাহার স্বামীর মৃত্যুর পর তার শ্বশুরের রেখে যাওয়া ঘরে বসবাস করে আসছেন, কিন্ত তাহার দেবর মো. শাহীন তাদরেকে প্রাপ্য জমি না দিয়ে তাদেরকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করেন।
বিষয়টি একাধিকবার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির্বগ সমাধান করলেও শাহীন তা মানতে রাজি না। তিনি তার পিতার সম্পত্তি একাই ভোগ দখল করতে জোড় চেষ্টা চালায় বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।
এ ব্যপারে মো. শাহীন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা বলে মন্তব্য করনে।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা দায়ের করবেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন।