রাজশাহী

নন্দীগ্রামে সড়ক নয়, যেন চাষের জমি

  প্রতিনিধি ২৩ অক্টোবর ২০২০ , ৩:৫৭:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি :

দেখে মনে হবে, যেন হালচাষ করা খেত। কোথাও কোথাও কুয়ার মতো গর্ত। এমনই অবস্থা ওমরপুর থেকে তালোড়া-দুপচাঁচিয়া হয়ে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর সড়কের। এসব গর্তে ট্রাক-বাস আটকা পড়ায় যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত  হচ্ছে। ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে এই সড়কের টেন্ডার হলেও ঠিকাদারের কাজ চলছে ধীরগতিতে।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নন্দীগ্রামে ওমরপুর থেকে তালোড়া-দুপচাঁচিয়া হয়ে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পর্যন্ত সড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্পে বরাদ্দ মিলেছে ১০১ কোটি টাকা। এর মধ্যে চলতি অর্থবছর ৩০ কোটি টাকার অর্থ ছাড় করা হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বি ক্যাটাগরির এ প্রকল্পে ছাড় করা অর্থ থেকে ৩০ শতাংশ বা ৯ কোটি টাকা কর্তন করা হয়েছে। এতে ঠিকাদারের কাজ চলছে ধীরগতিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কার্যাদেশ পেয়ে এ সড়কের পিচ, পাথর ও খোয়া কার্পেটিং তুলে খোঁড়াখুঁড়ি করা হয়। কিন্তু মার্চে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে কাজ ধরিগতিতে শুরু হয়। গেল বর্ষাকাল শুরু হওয়ার পর থেকেই খানাখন্দে প্রায়ই বিকল হয়ে পড়ছে নানা যানবাহন। আর বৃষ্টির পানি জমে এ সড়কে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বেহাল সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পণ্যবোঝাই ট্রাক, ভটভটি, অটোরিকশা, ইজিবাইক ও রিকশা ভ্যান।

ট্রাক চালক আশরাফ আলী বলেন, বর্তমানে সড়কটির বেশি অংশজুড়েই সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। সামান্য বৃষ্টিতেই কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায় পুরো সড়ক। সড়কের গর্তে জমে আছে পানি আর কাদা। একবার কাদা হলে গাড়ি তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে চলাচলও সম্ভব হয় না।

কোথাও কোথাও ট্রাকের চাকা আটকে পড়ে। যখন-তখন আটকে যায় ট্রাক-বাসসহ অন্যান্য যানবাহন।
সওজ বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জমান বলেন, করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বেড়ে গেছে। এ কারণে বরাদ্দের অর্থ থেকে ৯ কোটি টাকা কর্তন করা হয়েছে। তবে সড়কের উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকারদারকে বলা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by