বাংলাদেশ

না’গঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ৪৫, মৃত্যু ৪

  প্রতিনিধি ১৭ এপ্রিল ২০২০ , ১:০৮:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

নারায়ণগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ জন করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রতিনিধি ডা. জাহিদুল ইসলাম। এসময়ের মধ্যে জেলায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানান তিনি।  

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৮টা পর্যন্ত জেলায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে  এ তথ্য জানান জাহিদুল ইসলাম। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় কোনো সুস্থ হবার খবর নেই।

জাহিদুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে প্রাপ্ত ফলাফলে ৪৫ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ৬৫৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। যার মধ্যে ২৬১ জনের ফলাফলে পজিটিভ এসেছে।

জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা ২৮০ জন (মৃত্যুসহ)। এদের মধ্যে জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ছয়জন।  

এর আগে গত ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ বন্দরে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়। পরে ৪ এপ্রিল এক আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয় বাংলাবাজার এলাকায়। এরপর ৫ এপ্রিল শহরের জামতলায় একজন ও দেওভোগ আখড়া এলাকায় আরেকজনের মৃত্যু হয়। ৬ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা এলাকায় একজন এবং চাষাঢ়ার মাসুদাপ্লাজার মালিকের মৃত্যু হয়। ৭ এপ্রিল দেওভোগে একজন গিটারিস্টের মৃত্যু  হয়। ৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগগঞ্জে আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এবং ৯ এপ্রিল ফতুল্লার সস্তাপুরে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। ১২ এপ্রিল দেওভোগের এক ব্যক্তি, চাষাঢ়ায় এক ফার্মেসির মালিক ও ফতুল্লার ইসদাইরের এক নারীর মৃত্যু হয়। ১৩ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জের ও ফতুল্লার ধর্মগঞ্জে দুই নারীর মৃত্যু হয়। ১৫ এপ্রিল ফতুল্লায় একজন, বন্দরের দুইজন ব্যক্তি, রূপগঞ্জে গোলাকান্দাইলের এক নারী ও শহরের খানপুরের এক গাইনি বিভাগের চিকিৎসকের মার মৃত্যু হয়।   

তারও আগে গত ৮ মার্চ জেলায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত দু’জনকে শনাক্ত করে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। তারা ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। পরে ২৩ মার্চ জেলায় আরও একজন আক্রান্ত পাওয়া যায় বলে জানিয়েছিলেন জেলা সিভিল সার্জন। ওই ব্যক্তিও গত ১ এপ্রিল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। এছাড়া চিকিৎসাধীন থাকাদের মধ্যে তিনজন ১৩ এপ্রিল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by