দেশজুড়ে

নারী দিবসে বান্দরবানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন

  প্রতিনিধি ৯ মার্চ ২০২৪ , ৫:৫৩:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নারী দিবসে বান্দরবানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন

বান্দরবানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কে পর্যটকদের মাঝে তুলে ধরার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে বান্দরবান জেলা প্রশাসন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে অনন্যা কল্যাণ সংগঠন ( একেএস) ও হেলেন কেলার ইন্টারন্যাশনাল এর যৌথ সহযোগিতায় প্রকল্পের কার্যক্রম প্রদর্শনী এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৮ই মার্চ) বিকেলে জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে একেএস এর নির্বাহী পরিচালক ডনাই প্রু নেলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে কুলসুম,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, মো. ফজলুর রহমান,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, আবদুল মান্নান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উম্মে হাবিবা মিরা, উপজেলা নির্বাহী কমিশনার (ভূমি),নার্গিস সুলতানা,মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, আতিয়া চৌধুরী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, রাজিব কুমার বিশ্বাস,সাংস্কৃতিক কর্মী শীরিন খানম।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নারী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।এদিকে ফিতা কেটে প্রকল্পের কার্যক্রম প্রদর্শনী এবং মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক উম্মে কুলসুম। এসময় বক্তারা বলেন আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কে তুলে ধরার লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার বার্তা,নারী পুরুষ সমতা” এই স্লোগান কে সামনে রেখে দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য “নারীর সম-অধিকার, সমসুযোগ এগিয়ে নিতে হোক বিনিয়োগ ” এর বাস্তবায়নে সমাজের সকলের অংশগ্রহণ এবং নারীর জন্য বিনিয়োগে সেই নারী হবে দেশের সম্পদে পরিণত হবে বলে মত প্রকাশ করেন বক্তারা। বক্তারা আরো বলেন, এ দেশের নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় যেমন আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি, তেমনিভাবে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মারমা,ত্রিপুরা, বম,চাকমা ম্রো,খূমী সহ আরো কয়েকটি জাতিগোষ্ঠীর নারীরা গান আর নৃত্যের মাধ্যমে পাহাড়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পর্যটকদের পর্যটন কেন্দ্রে আগত পর্যটকদের মাঝে তুলে ধরেন। এসময় একেএস এর নির্বাহী পরিচালক ডনাই প্রু নেলী বলেন নারীদের জন্য যদি বিনিয়োগ করা না হয় তাহলে তারা কীভাবে সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখবে! নারীরা তাদের মনন,শ্রম,ভালোবাসা দিয়ে অবদান রাখছে যদি পুরুষের মতো নারীদের জন্য বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে সেই নারী সমাজ পরিবর্তনে অনেক বড় অবদান রাখতে পারবে,যা হবে সমাজের জন্য গর্ব, রাষ্ট্রের জন্য গর্ব। তিনি বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন নারীর ক্ষমতায়নে, সেই পরিপ্রেক্ষিতে অনন্যা কল্যাণ সংগঠন কাজ করছে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় নারীর সামাজিক উন্নয়নে।

নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীর অধিকারের বাস্তব প্রতিফলনের কথা তুলে ধরে একেএস কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সাংস্কৃতিক কর্মী, শীরিন খানম বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা নারীদের উন্নয়নে নারীর ক্ষমতায়ন নামে একটি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বর্তমানে নারীরা সমাজে এবং দেশের উন্নয়নে সাফল্য পাচ্ছে। আগের সময়ের চেয়ে নারীরা এখন অনেক দুর এগিয়ে গেছে। তিনও নারীর ক্ষমতায় সমাজের সকলের সহযোগিতার কথা বলেন। এদিকে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে দিন ব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content