দেশজুড়ে

নালিতাবাড়ীতে অনৈতিক কান্ডে লিপ্ত হয়েও বেপোরোয়া পারুল

  প্রতিনিধি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ৩:৫৮:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

নালিতাবাড়ীতে অনৈতিক কান্ডে লিপ্ত হয়েও বেপোরোয়া পারুল

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নন্নী ইউনিয়নের বনকুড়া গ্রামের মৃত কফিল উদ্দীনের স্ত্রী পারুল বেগম। ২০১৩ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর রেখে যাওয়া এক কন্যা সন্তান নিয়েই শ্বশুর বাড়িতেই জীবনযাপন করছেন। তবে সেই বিষয়ে কোনো প্রশ্নের সম্মুখীন না হলেও সমাজের মানুষদের মাঝে রয়েছে পারুল বেগম’কে ঘিরে নানা রকম অনৈতিক কর্মকান্ডের গুঞ্জন। তবে এ বিষয়ে অনেকেই মুখ খুললেও থাকতে হয় ভয়ে। কারন এই পারুল বেগমের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তার উপর করা হয় মিথ্যা মামলার হুমকি। তবে এই হুমকি থেকে পাড় পায় নি পারুল বেগমের বিধবা শ্বাশুড়ি এবং দেবরও।

এ বিষয়ে পারুলের শ্বাশুড়ি বলেন, আমার পোলা কফিল পিরিত কইরা বিয়া করছিলো। আমরা মাইন্না নিছিলাম। তবে বিয়ের ছয় বছর পরই আমার পোলা কফিল মইরা যায় এবং রেখে যায় একটা আদরের নাতনি। বাপ ছাড়া আমার নাতনি বড় হইছে এবং তাকে অল্প বয়সে বিয়ে দিছে এই পারুল। এবং নাতনি’কে বিয়ে দেওয়ার পর থেকে আমার আর আমার পোলা আল-আমিনের উপর শুরু হয় নানা ঝগড়া ও হুমকি ধুমকি এবং কফিলের বাপের রেখে যাওয়া সকল জমির উপর তার চলে দখলদারিত্ব। এসব জমি নিয়ে কথা বললেই আমারে আর আমার পোলারে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এবং বেশ কয়েকবার হামলার মুখে পড়েছি।

এবিষয়ে পারুলের দেবর আল আমিন বলেন, আমি খুব ভয়ে জীবনযাপন করছি। এবং এ নিয়ে আমি দুই দুইবার বিচারও ডাকিয়েছিলাম এলাকায় কিন্তু কোনো রকম সমাধান হয় নি। আমি এটাও শুনেছি গোপনে পারুল দ্বিতীয় আরেকটি বিয়েও করেছে। সর্বশেষ এটার সমাধানের জন্য আমি ১৪ জানুয়ারি নালিতাবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি কিন্তু এরপরও আমি থানা থেকেও কোনো সমাধান পাই নি।

আমরা সরজমিনে গিয়ে দেখি ,এই পারুল বেগম ২০১৮ সালে রাসেল নামক এক ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং বিবাহের কাবিননামা রয়েছে।

এবং নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, বনকুড়া বাজারের মুদির দোকানদার শেখ ফরিদের সাথে  বিবাহের একটি গুঞ্জন রয়েছে।এ বিষয়ে পারুল বেগমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিবাহের বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তবে পারুল বেগমের দ্বিতীয় বিয়ের নিকাহনামা’র সত্যতা মিলে কাজী অফিসে।

সরজমিনের তথ্যমতে , আগের স্বামী মৃত্যুর পর তার ভাগের সম্পত্তির জন্য তার দ্বিতীয় বিয়ের ব্যাপারটি গোপন রাখেন পারুল বেগম এমন মন্তব্য এলাকাবাসীর।

এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সোহেল রানা বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর উভয় পক্ষকে মিমাংসা করার জন্য থানায় ডাকা হয়েছিলো কিন্তু আল আমিনের পক্ষ উপস্থিত হলেও উপস্থিত হয়নি পারুল বেগম। তবে আমরা পারুল বেগমে’র দ্বিতীয় বিয়ের সত্যতা পেয়েছি।

তবে এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে তাই আমরা কোর্টে প্রতিবেদন পাঠিয়ে দিয়েছি এখন কোর্ট সিদ্ধান্ত নিবে।