প্রতিনিধি ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ , ৪:৫৫:২১ প্রিন্ট সংস্করণ
শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলাতে সরিষার হলুদ ফুলে মাঠঘাট ছেয়ে গেছে। মাঠজুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। সরিষার ফুলে আকৃষ্ট হয়ে মৌমাছিরা মধু আহরণে ব্যস্ত। সরিষা ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে গোটা মাঠ। ফুলের হলুদ রঙে অপরূপ শোভা ধারণ করেছে মাঠঘাট। দুরন্ত শিশুরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে ছুটোছুটি করছে সেই হলুদ আঙিনায়।
আবার তরুণ তরুণীরা এই হলুদ সৌন্দর্যে সেলফি তে একাকার হয়ে যাচ্ছে বাদ যাচ্ছেনা শিশু থেকে সকল বয়সী নারী পুরুষ।রীতিমতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে যেনো সরিষার হলুদ ফুলের দখলে।কত কবিতার সুরে সুরে পোস্ট।
বন্যার অত্যাধিক চাপ না হলে চলতি মৌসুমে এ অঞ্চলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতো বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রমতে, ২০২৫/২৬ অর্থবছরে ২ হাজার ১৪৭ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গতবছর ২১২৭ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছিল। এ বছর ১৩ হাজার ছয়শত কৃষকের মাঝে সরিষা বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছিলো।
ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় লাভজনক হওয়ায় কৃষকেরা দিন দিন সরিষা চাষের দিকে ঝুঁকছেন। তবে নালিতাবাড়ীতে এবারের বন্যায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অনেক কৃষক রয়েছে যারা ইচ্ছে ও প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও সরিষা আবাদ করে নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। সরিষার ফুলের চারপাশে মৌমাছির আনাগোনা বেড়ে গেছে। এবং সরিষা ফলন ঘরে উঠাতে দিন গুনছেন কৃষকরা।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল ওয়াদুদ বলেন বলেন, ‘নালিতাবাড়ীতে এ বছর ২ হাজার ১৪৭ হেক্টর সরিষার আবাদ হয়েছে। গতবছরে চেয়ে এবছর কিছুটা আবাদ বেড়েছে। আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়েছিলাম এবং বন্যার প্রভাব বেশি হওয়ার অনেক কৃষকরা সরিষা ফলন করে নি। তবে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। তবে বন্যার চাপ বেশি না হলে এবার সরিষার ভালো ফলন হতো তবে আগের বারের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। এই উপজেলায় আনুমানিক ৬০০০ হেক্টর জমিতে সরিষা করা সম্ভব।