ঢাকা

পাংশায় দূর্ভোগে ৫ টি গ্রামবাসী

  প্রতিনিধি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ , ৬:৫৬:৫২ প্রিন্ট সংস্করণ

রতন মাহমুদ (পাংশা, রাজবাড়ী প্রতিনিধি):

রাজবাড়ী পাংশার হাবাসপুরে একটি পাকা সড়কের অভাবে ও অনেক উঁচু ব্রীজ হওয়ায় ৫ টি গ্রামের মানুষ দীর্ঘদিন চরম দূর্ভোগে দিন কাটাচ্ছে।
সরজমীনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার হাবাসপুর ইউপির পূর্ব চরআফরা, পশ্চিম চরআফরা, সাদার চর, নারান্দিয়া ও রামনগর গ্রামে (গতমপুর ব্রীজ পার হয়ে) যাবার রাস্তাটি তৈরি হবার পর থেকে বৃষ্টির মৌসুমে প্রচুর কাদা ও অন্যান্য মৌসুমে খানাখন্দের কারনে চলাচলে দূর্ভোগে পরেন এ অঞ্চলের হাজারো মানুষ। তাদের দাবি ব্রীজ সমমান করে একটি পাকা সড়কের।

স্থানীয়রা বলেন, আমরা এ অঞ্চলের মানুষ কৃষি নির্ভর। ধান, গম, পাঠ, আখ, পেয়াজ, রশুন ও বাদাম সহ এ চরাঞ্চলে উৎপাদিত কৃষি পণ্য পাংশা ও কালুখালি উপজেলা সহ জেলা শহরের চাহিদা মিটিয়ে থাকে। একটি পাকা সড়ক না থাকায় ও ব্রীজটি অনেক উঁচু হওয়ায় পণ্য নেয়া সহ সাধারন চলাচলেও আমাদের চরম দূর্ভোগে পরতে হয়।
রাস্তাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে হাবাসপুর ইউপির সদ্য পরাজিত চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম বলেন, এটা নদী ভাঙ্গন এলাকা হওয়ায় মাটি দিয়ে বেশ উচু করে বেরিবাঁধ নির্মান করা হয়েছিলো। এর পর কয়েকবার ভাঙ্গনের মুখে পরে ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। আমরা কয়েকবার সংস্কার করেছি। কিন্তু নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেই ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি এমপি সাহেবকে জানিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, ওই কয়েকটি গ্রামে প্রচুর লোকের বসতি ছিলো। নদী ভাঙনের ফলে বহু লোক এলাকা ছেড়ে চলে গেছে। বর্তমানে ৬ থেকে ৭ শত ভোটার বসবাস করছে।
পূর্ব চর আফরা গ্রামের কৃষক আক্কাস আলী শেখের ছেলে মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, বাজারে কিম্বা শহরে যেতে হলে এই রাস্তা ধরে উঁচু ব্রীজটার উপর দিয়েই যেতে হয়। একেতো কাঁচা রাস্তা তার উপর রাস্তা থেকে এই ব্রীজটা অনেক উঁচু হওয়ায় ব্রীজের উপর একটি খালি ভ্যান উঠতেও যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। আর মালামাল নিয়ে তো কোন কথাই নেই। কয়েকজন মিলে ঠেলে উঠাতে হয়। রাস্তাটি পাকা কারার আগ পর্যন্ত অন্তত মাটি ফেলে ব্রীজ সমান করলেও আমরা কষ্ট থেকে অনেকটা মুক্তি পেতাম।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকাবাসিদের একজন বলেন, আমরা এ এলাকার মানুষ চিরকালই অবহেলিত। এরপর আবার এই উঁচু ব্রীজটা মরার উপর খারার ঘাঁ হয়ে দাড়িয়েছে। ব্রীজটা বেশি পরিমানে উঁচু হওয়ায় ব্রীজের উপর উঠতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই পন্য বহনকারি ভ্যান, ঘোড়ার গাড়ি উলটে পরে যায়। এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বর কেওই এই রাস্তাটা ব্রীজ সমান করতে উদ্দোগি হয় না। কিন্তু ভোটের সময় এলেই আদর ভালোবাসা কিম্বা হুমকি ধামকির ঠিকই দেয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by