বাংলাদেশ

নিষেধাজ্ঞার পরও গ্রামে ছুটছে মানুষ

  প্রতিনিধি ৭ মে ২০২১ , ৫:৫৫:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

নিষেধাজ্ঞার পরও ঈদ সামনে রেখে বাড়ি ছুটছে মানুষ। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যেন ঢল নেমেছে ঘরমুখো মানুষের।

ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদের আগে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হওয়ার পাশাপাশি লঞ্চ, বাস ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় সব চাপ পড়েছে ফেরিতে। যাত্রীদের অভিযোগ, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দ্বিগুণেরও বেশি ভাড়া গুনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।

করোনা কারণে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেই ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল। লকডাউনে গণপরিহন বন্ধ হলেও থামানো যাচ্ছেনা স্রোত।

রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের মেলবন্ধন পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। গাদাগাদি করে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন তারা। অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।

যাত্রীরা বলছেন, দূরপাল্লার গণপরিহন না চললেও, বাড়ি যাবার পথ খোলা থাকায় কষ্ট করে হলেও যাচ্ছেন তারা।

এক যাত্রী বলেন, ‘এখন ঈদের সময় মানুষ হাজার কষ্ট করে হলেও বাড়ি যাবে। সবাই চায় যে তার পরিবারের সাথে ঈদ করতে। মানুষের মনকে তো আর ধরে রাখা যায় না। তবে আমাদের উচ্চ মূল্যে টিকিট কিনতে হচ্ছে।’

তবে ঘাট কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, লঞ্চ, বাস ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় সব চাপ পড়েছে ফেরিতে।

শিমুলিয়া ঘাট বিআইডব্লিউটিসি’র এজিএম মো.  শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের আগে লাস্ট শুক্রবার তাই ঘাটে যাত্রীদের চাপ অন্যান্য দিনের চেয়ে অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। যাত্রীরা লকডাউনের বিধি-নিষেধ কিছুই মানছে না। অধিকাংশ যাত্রী মাস্ক পড়লেও অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।’

মানুষ পারাপার করতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। এজন্য ঘাটে অপেক্ষমাণ থাকা পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য জরুরি যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।

আরও খবর

Sponsered content